ভারত ও বাংলাদেশই কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে। দলের পারফরম্যান্স বিচার করলে শক্তির দিক দিয়ে অবশ্যই ভারত এগিয়ে। অনেকে বলছেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে পাওয়ায় ধোনিদের সুবিধাই হলো। সেমিফাইনালে যেতে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না। এ জন্য ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে নিউজিল্যান্ডকে। তারা বাংলাদেশকে হারাতে না পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হয়ে নামত শ্রীলঙ্কা। তখন সেমিতে যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। বাংলাদেশকে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায়। না, এ ব্যাপারে আমি তাদের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। কারণ প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার উপায় নেই। এটা ঠিক, এবারের বিশ্বকাপে ভারত ভালোই খেলছে। অথচ অনুশীলন ম্যাচগুলোতে খারাপ করায় অনেকে লিখেই ফেলেছিলেন মূল লড়াইয়ে ভারত সুবিধা করতে পারবে না। সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে ধোনিরা টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত করেছে। ভারতের ব্যাটিং লাইন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা উঠেছিল। সেই বোলিংয়েও চোখ-ধাঁধানো নৈপুণ্য প্রদর্শন করছে। অঘটন না ঘটলে আজ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে অপরাজিতভাবেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে ভারত। প্রশ্ন উঠতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালে তাহলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাংলাদেশকে নিয়ে এত ভয় কেন? না, বিশ্বকাপে এ পর্যায়ে এসে আমি বাংলাদেশকে দুর্বল বলতে রাজি নই। তারা যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে। স্কটল্যান্ড দুর্বল হলেও তাদের বিরুদ্ধে ৩১৮ রান অতিক্রম করে জেতাটা কৃতিত্বের। আর বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অভিজ্ঞ ইংল্যান্ড দলকে যেভাবে ধরাশায়ী করেছে এক কথায় অসাধারণ। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টে জ্বলে উঠে বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে দল হিসেবে কতটা শক্তিশালী। চমৎকার সমন্বয় করে খেলছে। টাইগার নাম এমনিতে যে তাদের দেওয়া হয়নি কাল প্রমাণ পেলাম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। 'এ' গ্রুপে নিউজিল্যান্ড কাউকে পাত্তা দেয়নি। যে খেলাটা খেলছে তাতে অনেকেই বলেছেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কী খেলাটাই না খেলল বাংলাদেশ। এ ম্যাচই বলে দিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে ধোনিদের সাবধান হয়ে খেলতে হবে।