বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালে আইসিসি সভাপতি মুস্তফা কামালের বদলে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন। গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে কেন এমন হলো এ প্রশ্ন পুরো বিশ্বজুড়ে। অনেক গ্রেট ক্রিকেটারই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, আইসিসি সভাপতি কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারের সমালোচনা করে না হয় ভুল করেছিলেন। এ জন্য তার কাছে জবাব চাইতেই পারেন আইসিসি। কিন্তু শ্রীনিবাসন গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে ফাইনালে ট্রফি দিলেন কিভাবে।
এ অবৈধ কাজের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলাওতো হতে পারে। শ্রীনিবাসনের পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি ভারতও ভালো চোখে দেখছে না। ফেসবুকে তাদের অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই উল্লেখ করেছেন, শ্রীনিবাসন ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্কিত ব্যক্তি। তারপরও তাকে আইসিসির চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কেন দেওয়া হলো। ভারতীয় ক্রিকেটে কি ভালো লোক ছিল না। ফেসবুকে উল্লেখ করা হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে আইসিসি সভাপতি যেভাবে আম্পায়ারের সমালোচনা করেছে তা ভারতবাসী মানতে পারেনি। কিন্তু তাই বলে শ্রীনিবাসন জোট বেঁধে সভাপতির অধিকার খর্ব করবে তাতো আরও বড় অন্যায়। গঠনতন্ত্রে যেখানে বলা আছে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন সভাপতিই।
এতদিন তা মানা হলেও এবার কেন ভাঙা হলো। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শ্রীনিবাসনকে দেখার পরই দর্শকরা তাকে ধিক্কার জানিয়েছে। এই অপমানতো শুধু শ্রীনিবাসনকে করা হয়নি। অপমানিত হয়েছে ভারতবাসীও।
গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করার কারণে তার বিরুদ্ধে আইসিসি কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা তা দেখার বিষয়। কিন্তু ভারত সরকারের উচিত হবে শ্রীনিবাসনকে ডেকে তাকে জিজ্ঞাসা করা ফাইনালে তিনি আইসিসির গঠনতন্ত্র ভাঙলেন কেন? বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদাশীল দেশ ভারত। এখনতো শ্রীনিবাসনের কারণে ভারতের ইমেজই ক্ষুণ্ন হয়েছে। মুস্তফা কামাল যাই করুক না কেন তা বাংলাদেশ বুঝবে। কিন্তু এমন অন্যায়ের পরও যদি শ্রীনিবাসন ছাড় পেয়ে যান তাহলে তিনি আরও বিতর্কিত কাণ্ড ঘটাতে সাহস পাবেন।