দুর্বল প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ। তবুও সতর্ক না থেকে উপায় ছিল না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। কারণ আগের ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে চমক সৃষ্টি করে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি। শুরুতে কিন্তু তারকাভরা শেখ জামালের সঙ্গে সমান তালে লড়ছিল রহমতগঞ্জ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এবার পেশাদার লিগে উঠে এলেও রহমতগঞ্জকে সবাই চিনে জায়ান্ট কিলার হিসেবে। এরা বড় দলগুলোকে কখন হারিয়ে দেয় তা বলা মুশকিল। অতীতে শেখ জামালও এ যন্ত্রণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে উদ্বোধনী ম্যাচে ফরাশগঞ্জকে ৪-১ গোলে হারলেও কাল যে শেখ জামাল সতর্ক হয়ে মাঠে নেমেছিল তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
একেতো তারকাভরা শক্তিশালী দল। তারপর আবার দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সতর্ক হয়ে খেললে অঘটন ঘটার শঙ্কা থাকে না তা মাঠেই প্রমাণ পাওয়া গেল। শেখ জামাল যে আক্রমণ চালিয়েছিল তাতে আগেই এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় তাদের অপেক্ষা করতে হয়। ৩০ মিনিটে লিংকনের ক্রশ থেকে বল পেয়ে কেস্ট কুমার গোল করেন। এগিয়ে যাওয়ার পরই শেখ জামাল আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। আসলে লোকাল কালেকশান যত বড় তারকা হোক না কেন, শেখ জামালের আক্রমণে বড় ভূমিকা রাখছেন বিদেশিরাই। ওয়েডসন ও ডালিংটন যখুনি বল নিয়ে বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকেন তখন প্রতিপক্ষরা দিশেহারা হয়ে যায়। আবাহনীর বিপক্ষে গোল পাওয়ার পরই রহমতগঞ্জ জ্বলে ওঠে। কাল সেই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। বরং গোল বাঁচানোর জন্য তারা রক্ষণাত্দক পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। ৫৬ মিনিটে রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার সুমন নিষিদ্ধ এলাকায় প্রতিপক্ষের ডালিংটনকে ফাউল করলে রেফারি জসিম উদ্দিন পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকেই ব্যবধান ২-০ তে আনেন ডালিংটনই। এ গোল দেওয়ার পরই কেন জানি শেখ জামাল রিলাক্সে চলে যায়। আর এ সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছিল রহমতগঞ্জ। ম্যাচে ফিরে আসতে তারা আক্রমণমুখী হয়ে উঠে। সত্যি বলতে কি এ সময় সমানতালে লড়াই চলছিল। ৭৮ মিনিটে মান্নাফ রাবি্ব চমৎকার গোল করে ব্যবধান (২-১) কমান। ম্যাচ ড্র করতে শেষ চেষ্টাও চালিয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় রহমতগঞ্জকে। এ জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৫ এপ্রিল শেখ জামাল পরবর্তী ম্যাচ লড়বে ফেনী সকারের বিপক্ষে। আজ প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা : চট্টগ্রাম আবাহনী ও দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা আবাহনী লড়বে ফেনী সকারের বিপক্ষে।