দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠায় মাশরাফি বাহিনীকে বীরোচিত সংবর্ধনা দিতে চেয়েছিল বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসী। সব প্রস্তুতি নিয়েও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অজুহাতে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা। জাতীয় বীরদের সম্মানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় চরম হতাশ আয়োজকরা। সঙ্গে মনক্ষুণ্ন হয়ে ক্ষোভের অনলে জ্বলছে বন্দরনগরীর ক্রীড়ামোদীরা।
চট্টগ্রামে মাশরাফিদের সংবর্ধনা দিতে না পারায় চরম হতাশ আয়োজকরা। এ ব্যাপারে আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সহ-সভাপতি ও সংবর্ধনা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, 'টাইগাররা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল উঠে বিশ্বদরবারে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমাদের করেছে গর্বিত। কিন্তু সেই জাতীয় বীরদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কীভাবে নির্বাচনে প্রভাব ফেলত, তা আমার মাথায় আসছে না। এছাড়া এটা মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছিরের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান নয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে দেশের ৬৪টি জেলা ও সাতটি বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাছিরের উপস্থিতি যদি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কারণ হয়, তা হলে তাকে উপস্থিত না থাকার জন্য ইসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেই হতো।' তিনি অভিযোগ করেন, 'বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ নামের একটি বিএনপিপন্থি সংগঠন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য রিটানিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন রিটার্নিং অফিসার।'
চট্টগ্রামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান না হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবাল। তিনি বলেন, 'এ অনুষ্ঠান হলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্রিকেট একাডেমির ১ হাজারের নবিস ক্রিকেটার সরাসরি মাশরাফি-তামিমদের দেখার সুযোগ পেতে। যা তাদের ক্রিকেট খেলার প্রতি আরও অনুপ্রাণিত করত। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান না হওয়ায় সে সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে।'