আনুশকা মাঠে থাকলে কোহলির খেলার ধার আরও বেড়ে যায়। তিনি অনেক শান্ত, ধীরস্থির এবং আনন্দিত বোধ করেন। আনুশকার উপস্থিতির কারণেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ত্রিদেশীয় সিরিজে ভাল খেলতে পেরেছিলেন তিনি। এমনটাই জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার ও আনুশকার প্রেমিক বিরাট কোহলি।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারতীয় ক্রিকেটার ভিরাট কোহলির বাজে ফর্মের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা দুষেছেন তার প্রেমিকা অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার উপস্থিতিকে। অভিনেত্রীর বাড়িতে ইট-পাটকেল, ডিম ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরাট। ভক্তদের একহাত নিয়েছেন তীর্যক বাক্যবানে। অনেকে ধারণা করেছিলেন, এ ঘটনার কারণে আনুশকা থেকে বিরাট হয়ত কিছুটা দূরে সরে যাবেন। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। তাদের অনবদ্য প্রেম আরও গতি পেয়েছে ভক্তদের ক্রোধের মুখে।
ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, সম্প্রতি এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, 'ওই ঘটনার পর থেকে আনুশকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আরও বেশি জোরালো হয়েছে। পরিস্থিতিটির মধ্য দিয়ে আমরা একসঙ্গে গিয়েছি। কেউ যদি আমার সঙ্গীনির বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বলে, তবে অবশ্যই আমি রেগে যাব। কারণ, আমার জন্য এটা খুবই ব্যক্তিগত এক ব্যাপার।'
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি ধরে রাখার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ভারতীয়দের। কোহলির খারাপ ব্যাটিংকে ওই হারের কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করেন অনেকেই। সেদিন মাঠে আনুশকা শর্মা উপস্থিত থাকায় কোহলি ভাল খেলেননি- এমন ধারণাও অনেকে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কোহলি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আনুশকার উপস্থিতির কারণেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ত্রিদেশীয় সিরিজে ভাল খেলতে পেরেছিলেন তিনি।
'আনুশকা গ্যালারিতে ছিল বলেই মাঠে আমি শান্ত, ধীরস্থির এবং খুশিমনে খেলতে পেরেছিলাম।'
তিনি আরও বলেন, আনুশকাকে নিজের সফরসঙ্গী বিসিসিআই-এর অনুমতি সাপেক্ষেই করেছিলেন তিনি।
'যখন আমার শতক করার সময় আনুশকা গ্যালারিতে দাড়িয়ে হাততালি দিচ্ছিল, আমি খুব খুশি এবং স্বস্তি বোধ করেছিলাম। মানুষকে দেখাতে পেরেছিলাম যে, আনুশকা থাকলে আমি কি করতে পারি। আমার মনে হয়েছে আমার ভালো খেলা আর আনুশকার অস্ট্রেলিয়ায় দাঁড়িয়ে হাততালি দেওয়ার মাধ্যমে আমরা যৌথভাবে সবাইকে জবাব দিয়েছিলাম।'
কোহলি জানান, যেভাবে পরবর্তীতে আনুশকার ওপর আক্রমণ হয়েছে, তাতে তিনি স্তম্ভিত হয়েছেন।
'আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি এটা জেনে যে, মানুষ এভাবে কারও ব্যক্তিগত জীবনকে লক্ষবস্তুতে পরিণত করতে পারে। ওই হারে আনুশকার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। আমার ওপর তার কেবল ইতিবাচক প্রভাবই রয়েছে। কিন্তু মানুষ তাকেই দোষী সাব্যস্ত করলো। আশ্চর্য!'
বিডি-প্রতিদিন/১৬ এপ্রিল ২০১৫/এস আহমেদ