মাশরাফির দুর্ভাগ্য
বিশ্বকাপে স্লো ওভাররেটের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। সে কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি নড়াইল এক্সপ্রেস। সে ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ম্যাচে জয় তো এসেছেই টসও জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের পরের দুই ম্যাচে মাশরাফি নেতৃত্ব দিয়েছেন। নড়াইল এক্সপ্রেসের কী দুর্ভাগ্য, দুই ম্যাচেই টসে হেরেছেন। দুই ম্যাচেই পরে ব্যাটিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
উড়াল ক্যাচ
দশম ওভারের শেষ বল। আরাফাত সানির দুর্দান্ত এক ডেলিভারি। বল পাকিস্তানি ওপেনার সানি আসলামের গ্লাভসে লেগে ক্যাচ উঠে যায়। লেগ স্লিপে থাকা ফিল্ডার তামিম ইকবাল শূন্যে উড়ে বল তালুবন্দী করেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার রুচিরা আউট দেননি। রিভিউও নাকচ করে দেন টিভি আম্পায়ার নাইজেল লং। অথচ রিপ্লেতে দেখা যায় বল আসলামের পায়ে লেগে গ্লাভস স্পর্শ করে তামিমের হাতে যায়। উইকেট প্রাপ্তি বঞ্চিত হলেন আরাফাত সানি।
আসলামের বোকামি
দারুণ ব্যাটিং করছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার সামি আসলাম। অভিষেক ম্যাচেই আস্থার পরিচয় দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৫০ বলে ৪৫ রান করার পর নাসির হোসেনের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান তিনি। অবশ্য রিপ্লেতে বোঝা যাচ্ছিল না বলটি সামির ব্যাটে কিংবা গ্লাভসে লেগেছে কিনা। ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিতে পারতেন। কিন্তু তা বুঝতেই পারেননি। রিভিউ নিলে ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনা থাকলেও সিদ্ধান্ত ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যেত। কিন্তু রিভিউ না নিয়ে বোকামি করেন আসলাম।
ব্যতিক্রমী উদযাপন
ব্যতিক্রমী উদযাপনের গুরু বলা যায় ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবালকে। আগের দুই ম্যাচে টানা দু্ই সেঞ্চুরির পর এমন উদযাপন করেছেন যা আগে কখনো অন্য কাউকে করতে দেখা যায়নি। কাল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে দিয়ে দুই হাতের তর্জনী দেখিয়ে ভিন্ন ভঙ্গিতে উদযাপন করলেন স্পিনার আরাফাত সানি। আগের দুই ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যর্থ মোহাম্মদ হাফিজ।