দিনের আর মাত্র সাত কী আট ওভার খেলা বাকি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। যেকোনো সময় মুষলধারায় বৃষ্টি নামতে পারে। আলোক স্বল্পতাও হচ্ছিল। সে কারণেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফ্লাড লাইট। কিন্তু এমন সময় হঠাৎ আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পাকিস্তানের দেওয়া ৫৫৭ রানের পাহাড় লক্ষ্য করে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানেই বাংলাদেশের ৪ উইকেটের পতন। টাইগারদের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। এমন সময় সাধারণত টেস্টে নাইটওয়াচম্যান নামানো হয়। কিন্তু অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম নিচেই ব্যাট হাতে নেমে গেলেন। তারপর দিনের শেষ বলে আউট হয়ে অধিনায়ক নিজেই বাংলাদেশকে ঠেলে দিলেন মহাবিপর্যয়ের দিকে।
কেন নাইটওয়াচম্যান নামানো হলো না? এমন প্রশ্নে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের ওপেনার ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, 'আমি যতদূর জানি, তাইজুল নামার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ নেমে গেল মুশফিক নিজেই।'
ওই সময় তাইজুল ব্যাট হাতে নামলে অন্তত কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারত বাংলাদেশ। এমনও হতে পারত যে তখন একটা বাড়তি উইকেটও হারাতে হতো না। কেননা শেষ মুহূর্তে মুশফিক নেমে যেমন অস্বস্তিবোধ করেছেন, তাইজুলের ক্ষেত্রে তেমনটা হতো না। কারণ তার উইকেটটা পতন ঘটলেও তো বড় কোনো ক্ষতি হতো না। তাছাড়া টেস্টে নাইটওয়াচম্যানদের বড় ইনিংস খেলার ইতিহাসও আছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নেমেই তো ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জেসন গিলেস্পি। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টে শেষ বিকালে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পতন হলে অধিনায়ক পন্টিং নিজে না নেমে পেসার গিলেস্পিকে উইকেটে পাঠান। সেই গিলেস্পিই দারুণ ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছিলেন অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি। তাই কাল তাইজুলকে না পাঠিয়ে মুশফিক নিজে নেমে যে বড় ভুল করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।