গত এগার মৌসুমে সাতটা লা লিগা জয় করেছে বার্সেলোনা। এ সময়ে রিয়াল মাদ্রিদে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছাড়াও জিনেদিন জিদান, ডেভিড বেকহ্যাম, রাউল গঞ্জালেস, গেরেথ বেলে, রদ্রিগেজ, গঞ্জালো হিগুয়েন, করিম বেনজেমা, ক্যাসিয়াসদের মতো কিংবদন্তির ফুটবলাররা খেলেছেন। আর বার্সেলোনায় এ সময় রাজত্ব করে গেছেন লিওনেল মেসি। তাকে কখনো সঙ্গ দিয়েছেন রোনালদিনহো-ইতো কখনো জাভি-ইনিয়েস্তা আবার কখনো নেইমার-সুয়ারেজ। প্রায় এক যুগে বার্সেলোনা তার ইতিহাসের সেরা সময় পাড়ি দিল। এ সময়ে তিনটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জয় করেছে কাতালানরা। জয় করেছে কোপা দেল রে কাপও। আজ আরও একবার মেসিদের সামনে কোপা দেল রে কাপ জয়ের সুযোগ। আজ নূ্য ক্যাম্পে কোপা দেল রে কাপ ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। ২০০৯ ও ২০১২ সালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়েই কোপা দেল রে কাপ জয় করেছিল কাতালানরা!
লা লিগার শিরোপা ঘরে উঠেছে। ট্রেবল জয়ের জন্য বাকি কেবল কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। আজ জিতলে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের সুযোগ থাকবে কাতালানদের সামনে। এর আগে পেপ গার্ডিওলা যুগে ২০০৮-০৯ মৌসুমে ট্রেবল জিতেছিল বার্সেলোনা। সেবারও লিওনেল মেসিই ছিলেন কাতালান ক্লাবটির প্রাণভোমরা। তবে মাঝ মাঠে তখন জাভি-ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত দাপট। তাদের দাপট এখন অনেকটা কমে গেলেও মেসির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নেইমার এবং সুয়ারেজ। অবশ্য আজ লুইস এনরিকে সুয়ারেজকে হয়তো মাঠেই নামাবেন না। ৬ জুনের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের জন্য সুয়ারেজকে সম্ভবত রিজার্ভ রাখা হবে। সেক্ষেত্রে আসল কাজটা আজ করতে হবে মেসি-নেইমারকেই। তাদের সঙ্গ দেবেন পেদ্রো। এদিকে বার্সা তারকা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছেন, বার্সেলোনার আক্রমণভাগ কেবল বিশ্ব সেরাই নয়, তাদের কোনো তুলনাও নেই। তিনি বলেন, 'আমার সৌভাগ্য হয়েছে বিশ্বের সেরা তিনজন আক্রমণভাগের ফুটবলারের সঙ্গে এই ক্লাবে খেলার। তাদের সত্যিই কোনো তুলনা নেই।' আর জেরার্ড পিকে তো বলেই দিলেন, 'আমাদের সামনে আরও একটি শিরোপা শোকেসে তোলার সুযোগ এসেছে। আর আমরা কেবল জানি কীভাবে ম্যাচ জয় করতে হয়।' এমন দুর্দান্ত বার্সেলোনার সামনেও অবশ্য নমনীয় নয় অ্যাথলেটিক বিলবাও। দলের মিডফিল্ডার মাইকেল রিকো বলছেন, 'মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ৩৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্ট নিশ্চিত করেছি। এবার একটা শিরোপা জিতে মৌসুমটা শেষ করতে চাই।' অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সামনে অবশ্য প্রতিশোধের ব্যাপারটাও রয়েছে। ২০০৯ ও ২০১২ সালে এই বার্সেলোনার কাছে হেরেই তো কোপা দেল রে কাপ শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বাস্করা। এবার সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে। তবে মেসি-নেইমারদের সামনে প্রতিশোধ নেওয়ার তেমন সুযোগ কী সত্যিই আছে!