ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনো ক্রিকেট খেলেনি- ভুল। তবে সত্যিটা হচ্ছে, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর গত ১৫ বছরে কখনো খেলেনি। যে তিনবার ভারতের বিপক্ষে খেলেছে, সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশ হওয়ার আগে। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ ক্রিকেটারেরই ভারতের মাটিতে খেলার সৌভাগ্য হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ও টি-২০ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনেপ্রাণে চাইছেন ভারতের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। অবশ্য ২০১৬ সালে খেলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ভারত সফরের সম্ভাবনা রয়েছে টাইগারদের।
১৯৮৮ সাল থেকে ভারতের বিপক্ষে নিয়মিত খেলছে বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে তিনটি। ১৯৯০ সালে এশিয়া কাপে প্রথম এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি ১৯৯৮ সালে তিন জাতির কোকাকোলা টুর্নামেন্টে। তিনটির ফলই হার। ২০১৬ সালে অবশ্য খেলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আগামী মাসেই অবশ্য এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে ঢাকায় আসছে ভারত। তাতেই কষ্টটা আরও বাড়ছে মাশরাফিদের। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ভারত ছাড়া বাকি সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশই সফর করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারত এখনো আতিথেয়তা দেয়নি। এ জন্য মনোকষ্ট টাইগার ওয়ানডে ও টি-২০ অধিনায়ক মাশরাফির। মাশরাফি চাইছেন ভারতে খেলতে, 'ছেলেরা সবাই চাইছেন ভারতে ক্রিকেট খেলতে। আমরা মুখিয়ে আছি ভারতের মাটিতে খেলার জন্য। গত ১৫ বছরে খেলিনি। তবে অপেক্ষায় আছি সেদিনের।' ভারতে খেলতে মুখিয়ে থাকার কথা টাইগার অধিনায়ক বলেন ভারতীয় মিডিয়া পিটিআইকে।
ভারতের মাটিতে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকার কথা বলেছেন মাশরাফি। তবে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর দুই দলের মধ্যে শীতল একটি লড়াই চলছে। যদিও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। তারপরও রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মার আউটটি নিয়ে প্রশ্ন করলেও উত্তর দেননি টাইগার অধিনায়ক- 'এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই।' বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলার পর পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। তাই আসন্ন সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে ভাবছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু টাইগার অধিনায়ক মনে করছেন, শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং লাইনের বিপক্ষে জোর লড়াই করতে হবে টাইগার বোলারদের, 'ভারতীয় ব্যাটিং লাইন অনেক শক্তিশালী। তাদের দলে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, আজিঙ্কা রাহানে, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। তাদের বিপক্ষে জোর লড়াই করতে হবে আমাদের বোলারদের। এ ছাড়া তাদের বোলাররা ভালো করছেন। তাই আমি মনে করি, আমাদের কঠিন লড়াই করতে হবে তাদের বিপক্ষে।' এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে ৭ জুন ঢাকায় আসছে ভারত। ১০-১৪ জুন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট এবং ১৮, ২১ ও ২৪ জুন তিনটি ওয়ানডে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে।