ফিফা ভাইস প্রেসিডেন্টসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতারের খবর, ফিফা কংগ্রেসে বোমা হামলার আতঙ্ক আর ফিলিস্তিন-ইসরাইল বিতর্ক নিয়ে শুরু হয়েছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার ৬৫তম কংগ্রেস। সেপ ব্ল্যাটারের দীর্ঘদিনের রাজত্বের পরিসমাপ্তি দেখছিল অনেকেই। তবে সবাইকে অবাক করে সব বিতর্ক সত্ত্বেও আবারও ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হলেন সুইজারল্যান্ডের সেপ ব্ল্যাটারই। প্রথম রাউন্ডে ১৩৩-৭৩ ভোটে এগিয়ে থাকলেও দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি পাননি ব্ল্যাটার। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট শুরুর আগেই জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেইন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে সভাপতির পদে আরও চার বছর থাকার অনুমোদন পেয়ে যান সেপ ব্ল্যাটার। নতুন মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্ল্যাটারা। স্পন্সরদের হারানো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবেন তিনি। নতুন করে গঠন করবেন ফিফাকে। তাছাড়া বলেছেন, 'আমি উপযুক্ত ব্যক্তি না হলেও আমি পারব ফিফাকে পুনর্গঠন করতে।' সেপ ব্ল্যাটারের এই কথায় কতটা যুক্তি আছে তা কেবল ভবিষ্যৎই বলতে পারে। এর আগে অন্য কোনো সভাপতির আমলে ফিফাকে নিয়ে এতটা হুলস্থূল হয়নি। দুর্নীতির অভিযোগে এতবার আক্রান্তও হয়নি ফিফা। সেপ ব্ল্যাটার এখন নতুন করে ফিফাকে কিভাবে পুনর্গঠন করেন তাই দেখার বিষয়।
এদিকে পরাজিত জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেইন তাকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেপ ব্ল্যাটার রাজে বিরোধিতা করার সাহস যারা করেছেন তারা নিঃসন্দেহে ফুটবলের কল্যাণ চান বলেই প্রিন্স আলি মনে করেন। অন্যদিকে সেপ ব্ল্যাটারের জয়কে অনেকেই ফুটবলের পরাজয় বলে মনে করছেন। এই তালিকায় সাবেক পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার লুইস ফিগোও আছেন।
এদিকে ফিফা কংগ্রেসে দুটো বিষয়ের নিষ্পত্তি হয়েছে। ইসরাইলের উপর থেকে ফিলিস্তিন অভিযোগ তুলে নেওয়ায় ফিফা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়াকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপের মূল পর্বে দলের সংখ্যা বাড়ানোর যে প্রস্তাব ছিল তাও বাতিল হয়ে গেছে। ৩২ দল নিয়েই কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।