বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার তিন দিনের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন সেপ ব্ল্যাটার। একের পর এক দুর্নীতি অভিযোগ ওঠায় আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও চাপের মুখে চলতি মাসের শুরুর দিকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি।
তবে আদতে তিনি ওই পদ ছাড়ছেন কি না, তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তার ঘনিষ্ঠদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে। তবে তিনি পদত্যাগ করুক আর নাই করুক ওই পদের জন্য ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব খেলোয়াড়রা। ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড ফুটবলার জিকো তাদেরই একজন।
লড়াইটা আরো জমিয়ে তোলার পূর্বাভাস দিয়েছেন আজের্ন্টিনার 'হ্যান্ড অব গড' খ্যাত দিয়াগো ম্যারাডোনা। এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে খেলার মাঠের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দ্বৈরথের পরিবর্তে এবার দু'দেশের তারকা প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মধ্যে ভোটের লড়াই দেখবে বিশ্ববাসী।
ব্ল্যাটারের ঘোরবিরোধী ম্যারাডোনা এ ব্যাপারে নিজে এখনো মুখ খোলেননি। ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার বিষয়টি জানিয়েছেন উরুগুয়ের সাংবাদিক ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভিক্টর হুগো মোরোলেস। তার বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স এমনটি জানিয়েছে।
ওই সাংবাদিক টুইটে করেন, 'ফিফার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে ম্যারাডোনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমি প্রার্থী।' তিনি আরও বলেন, 'ম্যারাডোনা আমাকে বলেছেন যে, তিনি ফিফার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন এবং এ বিষয়ে জানানোর জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।'
সাংবাদিক ভিক্টর হুগো, ম্যারাডোনার নির্বাচন প্রচারণার কথা জানিয়ে একটি টেলিভিশন শো করেন।
গতমাসে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ম্যারাডোনাকে ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দেন। আগামী ডিসেম্বরে ফিফার বিশেষ কংগ্রেসে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। ২০১৬ সালের জানুয়ারির আগে সে নির্বাচন হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে জিকো ও ম্যারাডোনা ছাড়াও ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য ঘোষণা দিয়েছেন লাইবেরিয়ার ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তা মুসা বিলিতি। নিয়ম অনুসারে ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে হলে প্রার্থীর পক্ষে অন্তত পাঁচটি সদস্য দেশের সমর্থন থাকতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ