রাফায়েল নাদালের বিদায়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আর এক চ্যাম্পিয়নের বিদায় হতে পারত উইম্বলডনে। ব্রিটিশ প্রতিদ্বন্দ্বী হেদার ওয়াটসনের হাতে এ অঘটনটা ঘটেই গিয়েছিল। জয় নির্ধারনী সেটে ০-৩ তে পিছিয়েও পড়েছিলেন। একের পর এক আনফোর্সড ভুলের জালে জড়িয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু বিপক্ষের দিকে প্রবল দর্শক সমর্থনের চাপ সামলে, খাদের কিনার থেকে অবিশ্বাস্য ভাবে ফিরে আসলেন সেরেনা উইলিয়ামস!
শেষ পর্যন্ত কতদূর পৌঁছবেন বলা কঠিন। তবে মেয়েদের সিঙ্গলসে তৃতীয় রাউন্ডে তীব্র লড়াই হল সেরেনা উইলিয়ামস ও হেদার ওয়াটসনের মধ্যে। যদিও শেষ পর্যন্ত ৬-২, ৪-৬, ৭-৫ ম্যাচ জিতে দেখিয়ে দিলেন সেরারা ঠিক সময়ে জ্বলে উঠলে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। আগের দিন নাদাল যেটা পারেননি, এ দিন সেই হারা বাজিই জিতে দেখিয়ে দিলেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণ কলি।
হেদার ওয়াটসন আগের দিনই ফাঁস করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনের হুমকির কথা। তাকে আর পরিবারকে নাকি কেউ মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। হয়তো তার উপর বাজি ধরে হেরে যাওয়ার পরই এমন প্রতিক্রিয়া, মনে করেছিলেন কেউ কেউ। শুক্রবার সেই জুয়ায় হারা হুমকিবাজ ফের তার উপর বাজি রেখে হারলেও, বাহবা না দিয়ে নিশ্চয়ই থাকতে পারবেন না। এ দিন এতটাই অবিশ্বাস্য টেনিস খেলেছেন ২৩ বছরের তরুণী।
প্রথম সেট সেরেনা দখল করলেও দ্বিতীয় সেট থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল নিক বোলতিয়েরি টেনিস অ্যাকাডেমির ছাত্রীর হাতে। যে অ্যাকাডেমি থেকে একের পর এক বিশ্বসেরা টেনিস খেলোয়াড় উঠে এসেছেন। হেদারও অঘটনটা ঘটিয়ে ফেলতে পারতেন। কিন্তু তৃতীয় সেটের চতুর্থ গেমে সেরেনা ফের ম্যাচে ফিরে আসেন।
প্রায় মিনিট বারো গড়ানো গেম হেদারের গ্রাস থেকে সেরেনার ছিনিয়ে নেওয়াটাই টার্নিং পয়েন্ট। এর পরও অবশ্য বার তিনেক ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ব্রিটিশদের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন হেদার। কিন্তু মার্কিনি টেনিস কন্যা সেরেনা আর সে সুযোগ দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ