এর চেয়েও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এর চেয়েও কঠিন পরিস্থিতি পার করেছে টাইগাররা। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। বাংলাদেশ এখন ভিন্ন মাত্রার ক্রিকেট খেলছে। রয়েছে জয়ের ধারায়। জয় দেখতে অভ্যস্ত দেশবাসী ও টিম ম্যানেজমেন্টের কল্পনাতেই নেই হার। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টি-২০ সিরিজ এবং প্রথম ওয়ানডে হারের পর নড়েচড়ে বসেন সবাই। হারের চক্কর থেকে জয়ের রাস্তায় উঠে আসতে মরিয়া মাশরাফি বাহিনী কাল খেলল অসাধারণ, অবিশ্বাস্য, দুরন্ত, দুর্দান্ত এক ম্যাচ। টাইগারদের ক্রিকেট ঝড়ে উড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অসাধারণ জয়ের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে সুখী লোক এখন মাশরাফি। সেই মাশরাফি কাল জয়ের পর ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুরো দলকে। তবে এখন আর ক্রিকেট মাঠের চ্যালেঞ্জটাকে বড় করে দেখেন না। কলিযুগে ছেলেমেয়েকে মানুষ করাই বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন। তবে টার্গেট পরিণত দল; এমনই মেসেজ এখন তার।
টি-২০ সিরিজ এবং প্রথম ওয়ানডে হারের পর যেন মাতম উঠেছিল, সব গেল! সব গেল বলে! পুরনো বাংলাদেশকে দেখার ভয়ে সবাই ভীত ছিলেন। কিন্তু গত আট মাস ছন্দোময় ক্রিকেট খেলা টাইগাররা কাল মিরপুরে যে ক্রিকেট খেলল, তাতে বিস্ময়ে চোখ কপালে ওঠেনি। তবে চমকে উঠেছেন সবাই। চাপের মুখে থেকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মাশরাফি, সৌম্যরা, তাতে চমকে ওঠাই স্বাভাবিক। চাপের মুখে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা মাশরাফিরা কাল অলআউট ক্রিকেট খেলে তুলে নিয়েছে ৭ উইকেটের বড় জয়। প্রতিশোধও নিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে। কাল ম্যাচ জেতার পর হাসিমুখে টাইগার অধিনায়ক যখন সংবাদ সম্মেলনে আসেন, তখন তার মুখাবয়বই বলছিল কতটা নির্ভার, কতটা শান্ত-ধীর তিনি। সহজে জিতেছেন। কিন্তু ভাবতে পারেননি। তবে সব মিলিয়ে জয়ই ছিল মাশরাফির কাছে মুখ্য, 'আমরা ভাবিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬০ রানে অলআউট করব। তবে ওদের ৪-৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পুরোপুরি ম্যাচে ঢুকে পড়েছিলাম আমরা। আমরা চেয়েছিলাম যত কমে তাদের অলআউট করা যায়। বোলাররা সেটা করেছেন অসাধারণ বোলিং করে। কারণ আমাদের ব্যাটসম্যানরা তাদের সেরা ফর্মে ছিলেন না। তাই কম স্কোর থাকায় ব্যাটসম্যনদের ওপর চাপ কম ছিল। চাপ কম থাকায় সৌম্য, মাহমুদুল্লাহরা কাজটি সহজ করে ফেলেন। জয়টাই মুখ্য ছিল আমার কাছে।'