একই টেস্টে হ্যাটট্রিক ও সেঞ্চুরি; বিরল রেকর্ডের মালিক সোহাগ গাজী। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এক সময়কার অবিচ্ছেদ্য হয়ে উঠা এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার এখন আড়ালে। স্মৃতির পাইপলাইনে প্রায় উঠেই পড়েছিলেন সোহাগ। কিন্তু হারিয়ে যেতে নারাজ সোহাগ, ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন দলে ফিরতে। এবার জাতীয় দলের অনুশীলনে ডাক পেলেন। কাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ উপলক্ষে যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হচ্ছে, ২৭ দলের স্কোয়াডে রয়েছেন সোহাগ গাজী। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সুযোগ পেলেও জাতীয় দলে ফেরার বিষয়ে সংশয় রয়েছে স্পিনিং অলরাউন্ডারের। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন যে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছে, তাতে ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়াটা অনেক বেশি কঠিন বলেই মানছেন সোহাগ। কঠিন মনে করেই ফেরার আত্দবিশ্বাস রয়েছে তার।
গত বছর শেষ টেস্ট খেলেছে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শেষ ওয়ানডে একই বছর বেসেটেরেতে, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই তার বোলিং অ্যাকশন সাসপেক্স হয়েছিল। এরপর নিষিদ্ধ হয়ে যান সব ধরনের ক্রিকেটে। অ্যাকশন শোধরানোর একটি পরীক্ষাও দেন। কিন্তু উতরাতে পারেননি। ফলে নিষিদ্ধ হন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে। অবশ্য পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষা দেন এবং পাস করে ফিরেন ক্রিকেটে। এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে নিয়মিত। কিন্তু সুযোগ পাচ্ছেন না জাতীয় দলে। জাতীয় দলে ফেরাটা যে অনেক কঠিন, সেটা ভালোই করেই জানেন সোহাগ, 'ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন খুবই ভালো দল। দলে খুব বেশি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাও কম। তাই বাইরে থেকেই চেষ্টা করব উন্নতি করার। এই কন্ডিশনিং ক্যাম্প আমাকে প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এখন খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে, তাই মনে করি দলে জায়গা পাওয়া অনেক কঠিন। কেননা দল এখন নির্দিষ্ট কারোর উপর নির্ভর করে না। দারুণ পারফর্ম করছেন সবাই।' নিষিদ্ধ হওয়ার পর এই প্রথম সুযোগ পেলেন ১০ টেস্ট ও ২০টি ওয়ানডে খেলা সোহাগ। জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে পারফরম্যান্স করেছেন নিয়মিত। সেজন্যই নির্বাচক প্যানেল তাকে সুযোগ দিয়েছেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। ক্যাম্প তার ফিটনেস পেরুতে সহায়তা করবে বলেই বিশ্বাস সোহাগের, 'আগের কোনো ক্যাম্পে ছিলাম না বলে খারাপ লাগছিল। অনেকদিন পর ক্যাম্পে ডাক পেয়ে ভালো লাগছে। কিছুদিন আগে কথা উঠেছিল, আমার ফিটনেস ভালো নয়। তাই আমি মনে করছি এই ক্যাম্প আমার জন্য খুবই সহায়ক হবে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে অনুশীলন করে নিজের ফিটনেসটাকে অনেক উপরে নিতে চাই।'