ইংলিশ কাউন্টি লিগে স্বপ্নের অভিষেকে নিজ দলকে জেতালেন বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা চমক মুস্তাফিজুর রহমান। তার জাদুকরী বোলিং নৈপুণ্যে পয়েন্ট টেবিলের শেষের দিকে থাকা সাসেক্স শার্কস ২৪ রানে জয় পায়। একইসঙ্গে কাউন্টি ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচটিকেও স্বরণীয় করে রাখলেন কাটার মাস্টার। এদিন ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরার খেতাবটি নিজের করে নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করে সাসেক্স। জবাবে, মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানেই থেমে যায় এসেক্স।
সাসেক্স-এর হয়ে ওপেনার ক্রিস ন্যাশ ২৫, দলপতি লুক রাইট ৩২, তিন নম্বরে নামা ফিলিপ সল্ট ৩৩, চার নম্বরে নামা রস টেইলর ২৪ রান করেন। ম্যাট মাচানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। তবে, ক্রিস জর্ডান ২১ বলে একটি চার আর ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৪৫ রান করেন। শেষ দিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ১৮ ও জোফরা আর্চার ১২ রান করেন।
২০১ রানের টার্গেটে নেমে এসেক্স ব্যাটসম্যানরা প্রথম ৫ ওভারে ৫০ রান করেন। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে মাত্র চার রান দেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজ। এরপর লম্বা বিরতি। শেষ মারনাস্ত্র মুস্তাফিজের হাতে ইনিংসের ষোলোতম ওভারে বল তুলে দেন অধিনায়ক লুক রাইট। ওই ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে তিনি তুলে নেন এসেক্স অধিনায়ক রবি বোপারাকে।
১৮তম ওভারে তৃতীয় বলেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। এবার বোল্ড হন জেমস ফস্টার। অপ্রতিরোধ্য বাঁহাতি এই পেসারকে ঠেকানোর সামর্থ্য ছিল না ক্যালাম টেইলরেরও। ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। আর নিজের ও দলের শেষ ওভারে ১০ রান খরচ করে মুস্তাফিজ তুলে নেন ডয়েসকাটের উইকেট।
এসেক্সের ব্যাটসম্যানরা তার ১৫টি বল থেকে কোনো রানই নিতে পারেননি। ৫.৭৫ ইকোনমি রেটে বল করে বাংলাদেশি এই পেসার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
এসেক্সের হয়ে ওপেনার লরেন্স সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। এছাড়া, ওয়েসলি ২৩, দলপতি রবি বোপারা ৩২, আসার জাইদি ১৮, রায়ান টেন ডয়েসকাট ২৬ রান করেন।
টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের সাউথ গ্রুপের দল সাসেক্স এ পর্যন্ত মোট ১২ ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে ৫টিতে জয়, ৫টি ম্যাচ হার আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সাসেক্স-এর সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়াল ১২ পয়েন্ট।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ