ইংল্যান্ডে গিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের অভিষেক ম্যাচে বোলিং ঝড়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন লণ্ডভন্ড করে দেয় কাটার মাস্টার। দল জেতানোর পাশাপাশি হন ম্যাচসেরা। কিন্তু পরের ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হলো মুস্তাফিজকে। এদিন সারের সঙ্গে ৬ উইকেটে হারে মুস্তাফিজের সাসেক্স।
শুক্রবার কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নামে সাসেক্স। কিন্তু বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে সাসেক্স। জবাবে ১৮ ওভার ২ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সারে।
জয়ের জন্য এদিন মুস্তাফিজুর রহমানের দিকেই তাকিয়ে ছিল সাসেক্স। সারের বিপক্ষে চেষ্টার কমতি ছিল না বাঁহাতি পেসারের। তবে এবার দলকে জেতাতে পারেনি বাংলাদেশের তরুণ এই পেসার। ৩.২ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মুস্তাফিজ।
শুক্রবারের ম্যাচে ২৪ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম প্রায় পূর্ণ ছিল। মুস্তাফিজ ও সাসেক্সকে সমর্থন দেওয়ার জন্য পাঁচশর বেশি প্রবাসি বাংলাদেশি মাঠে যান। আগের ম্যাচের মতোই জ্বলে উঠবেন মুস্তাফিজ এমনটা প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে বিশ্বের বড় বড় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যখন ডাক মেরে ফিরে আসেন, ইউকেটশূণ্য থাকেন ওয়সিম আকরামের মতো বোলাররাও, সেখানে মুস্তাফিজের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সারেকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয়। নিজেদের ইনিংসের প্রথম তিন বলে তিনটি চার হাঁকানো এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ২৫ বলে করেন ৩৬ রান।
টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান ডমিনিক সিবলি ৩১ বলে করেন ৪০ রান। ক্রিস মরিসকে (২০*) সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন বেন ফোকস (২২*)।
এর আগে ক্রেইগ কাচোপা ও ক্রিস ন্যাশের ব্যাটে দেড়শ’ রানের সংগ্রহ গড়ে সাসেক্স। ৩৪ বলে ৭টি চারে ৪৫ রান করে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কাচোপা।
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে করেন ৩৯ রান।
সারের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জাদে ডার্নবাখ ও মরিস।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ