পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কাকে ১১৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয়ের আশায় বুক বাধছিল যারা, সেই স্মিথ বাহিনীকে ১০৬ রানে হারিয়ে জয়োৎসব করলো অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস বাহিনী। জয়ে কুশাল মেন্ডিসের ১৭৬ রান যেমন বড় অবদান রেখেছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দুই লঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ও স্যান্ডাকন।
শনিবার টেস্টে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল সাত উইকেট। আর অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রান। দুই দলের সামনেই ছিল জয়ের হাতছানি। কিন্তু পারলেন না অজিরা। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে কেবল ব্যতিক্রম ছিলেন দলীয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। মিশেল মার্শকে নিয়ে তিনি যা একটু প্রতিরোধ গড়েন হেরাথের জোড়া আঘাতে তা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ব্যক্তিগত অর্ধ শতকের পর স্মিথকে ফেরান হেরাথ।
এর আগে ২৫ রানে মার্শকে সাজঘরে পাঠান লঙ্কানদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই স্পিনার। লঙ্কানদের হয়ে ৫ টি উইকেট নিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ এবং স্যান্ডাকন নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আগের দিনের ২৮২ রানের সঙ্গে শু্ক্রবার ৭১ রান যোগ করার পর অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন পূরণ হয়নি কুশল মেন্ডিসের। আগের ১৬৯ রানের সঙ্গে গতকাল আর মাত্র ৭ রান যোগ করার পরই আউট হয়ে যান। তারপরও টেস্টে এটি মেন্ডিসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ২৫৪ বলে ১৭৬ রান। ২১টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কা।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে চান্দিমালের ব্যাট থেকে। ডি সিলভা করেছেন ৩৬ রান। রঙ্গনা হেরাথ করেছেন ৩৫ রান। অসি বোলার মিচেল স্টার্ক নিয়েছেন চার উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন জোস হ্যাজলউড ও নাথান লিয়ন।
গতকাল ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দেন লঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। দলীয় দুই রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে বিপদের গন্ধ পায় সফরকারীরা। ৩৩ রানে পতন ঘটে দ্বিতীয় উইকেটের। ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরে ওসমান খাজা। ৬৩ রানের মাথায় বার্নসকে বোল্ড করে লঙ্কান অভিষিক্ত বোলার স্যান্ডাকন। চতুর্থ দিন শেষে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভেন স্মিথ। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন ভোজেস।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব/হিমেল-১৪