আগামী ১৬ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি মিলবে টেস্টে ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুলের। নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে মরিয়া আশরাফুল মাঠে ফিরতে স্কিল ট্রেনিংও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেলেও। তবে শিগগিরই তিনি কি মাঠে ফিরছেন, এ নিয়ে একটা সংশয় দেখা দিয়েছে।
ধারণা করা হাচ্ছিল, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দীর্ঘ পরিসরের আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) দিয়েই হয়তো আবার মাঠে নামতে পারবেন আশরাফুল। আশরাফুল ভক্ত ও ক্রিকেট অনুরাগিদের ভাবনাও ছিল তেমনই। কিন্তু সেটার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
তবে কি তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কোন নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে? যাতে আশরাফুল ১৬ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হবেন না? আপাতত তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কোন সমস্যা কিংবা জটিলতাও নেই। আশরাফুল পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ আগস্টই মুক্ত হবেন। বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান তা নিশ্চিত করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও মাঠে নামতে পারবেন। তবে বিসিএলে হয়তো নয়।
কেন? ‘কারণ ওই আসর ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বোর্ডের টাকায় চললেও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কথায় দল হয় না। দল সাজিয়ে দেন নির্বাচকরা। যারা জাতীয় লিগে ভাল খেলেছে, কেবল সেই সব ক্রিকেটারকেই বিসিএলে খেলার সুযোগ করে দেয়া হয়। আশরাফুল যেহেতু নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই জাতীয় লিগ খেলতেই পারেনি, তার ক্ষেত্রে জাতীয় লিগে ভাল বা মন্দ করার কোনই সুযোগ নেই। এজন্য বিসিএলে তার বিবেচনায় থাকাটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নির্বাচকদের হাতে।
এ ব্যাপারে একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমিও শুনেছি আশরাফুল এ মাসেই মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। তবে বোর্ড এখন পর্যন্ত আমাকে সে ব্যাপারে লিখিত কিছু জানায়নি। বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানালেই না কেবল তাকে নেয়ার প্রশ্ন। আগে আমি বোর্ড সিইওর কাছ থেকে লিখিত অনুমতি বা ছাড়পত্র পাই, তখন আশরাফুলকে বিবেচনায় আনার ক্ষেত্র মিলবে। তবে বর্তমান অবস্থায় আমার তথা নির্বাচকদের পক্ষে এবারের বিসিএলে আশরাফুলকে কোন দলে রাখার অবকাশ নেই।’
এর কারণ হিসেবে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কারণ আমরা জাতীয় লিগের ভাল পারফরমারদের দীর্ঘ পরিসরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দেই। এ কারণেই জাতীয় লিগে নজর কাড়া পারফরমারদের দিয়েই বিসিএলে চার দল সাজানো হয়। যেহেতু আশরাফুল গত জাতীয় লিগ খেলেনি। তাই তাকে বিবেচনা করার কোন মানদণ্ডও আমাদের হাতে নেই। কাজেই তাকে চার দলের খেলোয়াড় তালিকায় রাখারও কোন সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে তাকে মাঠে ফিরতে অপেক্ষায় থাকতে হবে। আগামী জাতীয় লিগ, প্রিমিয়ার লিগ কিংবা বিপিএলের আগে আমিতো কোন সুযোগ দেখছি না।’
বিপিএলে চতুর্থ আসরের সম্ভাব্য সময় আগামী নভেম্বর। ফলে যে আসরে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে তার ভাগ্যে নেমে এসেছিল দুর্যোগের ঘনঘটা, সেই বিপিএল দিয়েই আবারও বড় কোনো টুর্নামেন্টে দেখা যেতে পারে আশরাফুলের। এখন দেখার বিষয় কি ঘটে আশরাফুলের ভাগ্যে।
প্রসঙ্গত, একটি কথা বলতেই হয়, কিছুদিন কিংবদন্তি অজি স্পিনার শেন ওয়ার্ন তার বিরুদ্ধে ব্যাট করা টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দেশের সেরা দশ ব্যাটসম্যানদের নাম প্রকাশ করেছেন। যে তালিকায় তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলকে রেখেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব