ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে পর্দা উঠলো অলিম্পিক আসরের। মারকানা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী আয়োজন দেখতে উপস্থিত হন ৬০ হাজার দর্শক। আর সারা বিশ্বের ৩ বিলিয়ন দর্শক তা উপভোগ করেন সরাসরি টেলিভিশনে।
প্রতিটি দেশের প্রতিযোগীরা নিজ নিজ দেশের পতাকা হাতে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন। এবারের অলিম্পিকেই প্রথমবারের মতন শরণার্থীদের একটি দল প্যারেডে অংশগ্রহণ করে।
এবারে বিশ্বের ২শ'র বেশি দেশের এথলেটদের অংশগ্রহণে এই আয়োজনের উদ্বোধনী আসরে ব্রাজিলের বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইতিহাস ও ভিন্নতাকে তুলে ধরার জমকালো আয়োজন ছিল।
‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের আয়োজক হতে পেরে ব্রাজিল যখন একদিকে গর্বিত ও আনন্দিত, অন্যদিকে দেশটির একটি বড় অংশ এই আয়োজনের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।
বিরোধীরা বলছেন, এই আয়োজনের আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের জন্য যে বিরাট অর্থ খরচ হল তা ব্রাজিলের দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কাজে লাগানো যেত।
ব্রাজিলের ১০০টি স্টেট থেকে প্রধানরা আসবেন বলে আশা করছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শেষপর্যন্ত ২৫টি স্টেট থেকে এসেছেন প্রতিনিধিরা।
এবারের অলিম্পিকে ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে মশাল প্রজ্বলন করবেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে তিনি মশাল প্রজ্বলন করা থেকে বিরত থাকেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ