দেখতে দেখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশটি বছর পার করে ফেললেন সাকিব আল হাসান। ১০ বছরে অর্জন অনেক। এই সাকিবকে দিয়েই নতুন করে বাংলাদেশকে চিনেছে ক্রিকেট বিশ্ব! ক্রিকেট ইতিহাসে বাঙালির গৌরবের অনন্য অধ্যায় রচনার অন্যতম সৈনিক তো তিনিই।
২০০৬ সালের ঠিক এই দিনে (০৬ আগস্ট) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে মাঠে নামেন সাকিব। তখন কে জানতো এই যুবকই হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের 'ব্রান্ডনেম'!
জিম্বাবুয়ের হারারেতে সাকিবের আন্তর্জাতিক অভিষেক। সেই শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে উঠলেন মাগুরার এই ক্রিকেটার। এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটেও তার মতো ব্যাটে-বলে ঝড় তোলা অলরাউন্ডার খুব কমই আছেন।
প্রথম কাউন্টিতে যাওয়া, ধারাবাহিক আইপিএলে খেলা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট লিগে প্রথম খেলা, উইজডেন বর্ষসেরা খেতাব অর্জন, সিয়াটের বর্ষসেরা হওয়া, এছাড়া টানা তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে এক নম্বর অলরাউন্ডার তিনি। বর্তমানে তিনি আছেন ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকায়। খেলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ।
সাকিবের জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ। ১২-১২-১২ তে বিয়ে করেন তিনি। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েই মূলত শিশিরের (স্ত্রী) সঙ্গে পরিচয় তার। পরিচয় থেকে প্রণয়। পরে বিয়ে। এখন তাদের ঘরে রয়েছে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান।
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
টেস্ট: ৪২ টেস্টে ২ হাজার ৮শ’ ২৩ রান। ১৪৭ উইকেট। ব্যাটিং গড় ৩৯ দশমিক ৭৬। শতক সংখ্যা ৩টি।
ওয়ানডে: ১৫৭ ওয়ানডেতে ৪ হাজার ৩শ’ ৯৮, উইকেট সংখ্যা ২০৬। ব্যাটিং গড় ৩৫ দশমিক ১৮। এছাড়া ৬টি শতক অাছে তার।
টি-টোয়েন্টি: ৫৪ টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ১শ’ ৩ রানে শিকার করেছেন ৬৫ উইকেট। ব্যাটিং গড় ২৩ দশমিক ৯৭।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ