কিংবদন্তি বক্সার। সর্বকালের সেরাদের মধ্যে অন্যতম। সেই মহম্মদ আলিই নাকি ছিলেন বিকৃত যৌনমানসিকতার অধিকারী। এমনটাই জানাচ্ছেন আলির দ্বিতীয় স্ত্রী খালিয়া।
আলির যৌনবিকৃতি চরমে উঠত কোনও ম্যাচ জেতার পরে। জয়োৎসব পালন করতে নাকি আলি যৌনকর্মীদের ডেকে হোটেলের ঘরে একান্তে সময় কাটাতেন। এবং পুরো ব্যাপারটা নাকি আয়োজন করতে হতো খালিয়াকেই। খালিয়া বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীতে আলির অনেক ভক্ত থাকতে পারে। কিন্তু রিংয়ের বাইরে ব্যাক্তিগত জীবনে আলি কেমন ছিল, সেটা কেউই জানে না।’
আলির জীবনী লিখছেন বিখ্যাত বক্সিং বিশেষজ্ঞ জোনাথন এইগ। তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এই সব বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছেন খালিয়া। তিনি জানান, অজস্র নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল আলির। এবং সেগুলো ও আমার কাছে থেকে গোপন করত না। বন্ধ ঘরে তাঁদের সঙ্গে কী কী করেছে, তার বিবরণ দিত আমাকে। এসব শুনতে ভাল লাগত না আমার। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করে নিতে হতো।’
শেষ জীবনে দুরারোগ্য পার্কিন্সন্স রোগে ভুগতেন আলি। খালিয়ার দাবি, বক্সিংয়ের দরুণ মাথায় অতিরিক্ত চোটের কারণেই এই স্নায়বিক রোগের শিকার হন আলি। ‘অনুশীলনের সময় ও বারবার নিজের সতীর্থদের বলত ওর মাথায় আঘাত করার জন্য। ওর ধারণা ছিল, মাথায় ঘুঁষি খেলে ওর সহ্যশক্তি বাড়বে। কিন্তু এই চোটের কারণেই ওর স্নায়ুতে চোট লাগে। আলির ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ওকে মাথায় চোট নিতে বারণ করেছিল। কিন্তু আলি পরামর্শে কান দেয়নি।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর