সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় বীরেন্দ্র শেবাগ। বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে প্রকাশ করেন ভারতের সাবেক এই তারকা ব্যাটসম্যান। আর এই প্রকাশ ভঙ্গি টেনে আনে বিতর্ক।
সম্প্রতি ভারতের কেরালায় নৃশংসভাবে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে খাবার চুরির অপরাধে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যে ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত গোটা ভারত। এই বিষয়টিকেই সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে টুইট করার অভিযোগ উঠল বীরেন্দ্র সহবাগের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, আট্টাপাডির বাসিন্দা ৩০ বছরের মধু গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চাল চুরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই জন্যই উন্মত্ত জনতা পিটিয়ে মারে মানসিক ভারসাম্যহীন সেই যুবককে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান হতভাগ্য যুবক।
তবে শেবাগ এই জন্য তিন মুসলিম যুবককে দোষারোপ করে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে টুইট করেন বলে অভিযোগ। তিনি লেখেন, ‘‘মধু ১ কেজি চাল চুরি করেছিল। উবেইদ, হুসেন, আবদুল করিমরা দল বেঁধে বেচারা আদিবাসীকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। এটা সভ্য সমাজের লজ্জা। এমন ঘটে, তবে তাতে কিছু এসে যায় না, এতে আমি লজ্জা পাই।’’
গোটা টুইটে তিনি সরাসরি সাম্প্রদায়িকতাকে দায়ী না করলেও বিশেষ ধর্মাবলম্বী যুবকের নাম উল্লেখ করায় তার ইঙ্গিত বুঝতে সমস্যা হয়নি টুইটারেত্তিদের।
টুইটারে শোরগোল শুরু হতেই শেবাগ আগের টুইটের জন্য ক্ষমা চান। আগেরটি মুছে নতুন টুইটে লেখেন, ‘‘একটা ভুল মেনে না নেওয়া মানে আবার সেই ভুলই করা। অসম্পূর্ণ তথ্য ছিল বলে আরও অনেকের নাম উল্লেখ করতে পারিনি। তাই আন্তরিক ভাবেই ক্ষমা চাইছি। তবে টুইটটি কিন্তু মোটেই সাম্প্রদায়িক ছিল না। হত্যাকারীদের ধর্মীয় পরিচয় আলাদা হতে পারে, তবে হিংস্রতা, নৃশংসতায় সকলেই সমান, এক। শান্তি আসুক।’’ পরে এই টুইটটিও মুছে দেন তিনি। এর আগে গুরমেহর-ইস্যুতেও টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান।
বিডি প্রতিদিন/ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ তাফসীর