প্রতিটি দলেই এমন কিছু খেলোয়াড় থাকে যারা অনেকটা নীরবেই নিজের কাজটা করে যান। দলের প্রয়োজনে এগিয়ে এসে নিজের সেরাটা খেলে থাকেন তারা। তেমনই একজন খেলোয়াড় ইমরুল কায়েস।
ফর্মহীনতায় বারবার দল থেকে ছিটকে গেছেন। আবার ঘরোয়া লীগে নিজেকে প্রমাণ করে ফিরেছেন জাতীয় দলে।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এশিয়া কাপ চলাকালে হঠাৎই আঙ্গুলে চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যান তামিম। আর এতেই ভাগ্য খোলে ইমরুলের। আচমকা তাকে উড়ে নিয়ে যাওয়া হয় দুবাইয়ে। ফেরার সেই ম্যাচেই অর্ধশতক করে নিজের জাত চেনান কায়েস।
এরপর থেকেই ধারাবাহিক ইমরুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে দুই শতক করেন তিনি। কঠিন সময়ে ব্যাট হাতে বারবার দলকে আগলে ধরেছেন ইমরুল কায়েস। চলতি সিরিজে সর্বাধিক ৩৪৯ রান করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। চলতি সিরিজে ম্যান অব দ্যা সিরিজও হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন ইমরুল এবং সোম্য। ইমরুল বলেন, আসলে আজকের ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে কিনা, এই ব্যাপারে ভাবি না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইমরুল বলেন, ভাই এতো ভালো খেলোয়াড় এখনো হয়নি। মাত্র তো ৩টি ওয়ানডে খেলেছি। আমাকে খেলতে দেন।
‘আমি শূন্য রানে আউট হতে পারতাম। রান করেছি তিনটা ম্যাচে এটা অবশ্যই ভালো লাগছে। তিনটা সেঞ্চুরি হলে ভালো লাগত, যেহেতু এটা কেউ কখনো করেনি বাংলাদেশের হয়ে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি প্রথম করতাম, আমার একটা সুযোগ ছিল। আমারও খারাপ লাগছে সেদিন রুমে গিয়ে। ওটাই চিন্তা করছিলাম আবার ৯০-এর ঘরে গেলে আর ভুলো করব না।’
ইমরুল ধারাবাহিক নন, এ কথা শুনতে হয়েছে বহুবার। এবার সে সমালোচনা চাপা দিয়েছেন। স্ট্রাইকরেট একশর কাছে রেখে রানের দৌড়ে ছুটেছেন পরিশ্রমী এই ক্রিকেটার। এরপরও যে যাই বলুক, তাতে মাথাব্যথা নেই ইমরুলের। নিজের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে জানেন বেশ ভালো করেই।
‘খুব ভালো লাগছে কারণ ম্যাচটা জেতাতে পেরেছি বিশেষ করে। এটা অবশ্য আমার ক্রিকেট জীবনে বড় প্রাপ্তি। চেষ্টা করব এটা ধরে রাখতে। আসলে অনেক কথাই বলে লোকে যে ধারাবাহিকতা নেই। জানি আমি কোথায় রান করি বা করি না। এটা নিয়ে আমি আতঙ্কিত না।’
উল্লেখ্য, ৩ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে সিরিজ শেষে টেস্ট সিরিজ শুরু হবে সিলেটে। সেই সিরিজের জন্যই সিলেটে মাঠে নামবে দুই দল।
বিডি প্রতিদিন/২৬ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত