২২ জুলাই, ২০১৯ ১১:০৭

অদ্ভুত খেলা, শামুকদৌঁড় প্রতিযোগিতা!

অনলাইন ডেস্ক

অদ্ভুত খেলা, শামুকদৌঁড় প্রতিযোগিতা!

খেলাধুলা এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম। শারীরিক সুস্থতার জন্য আদিকাল থেকেই খেলাধুলার প্রচলন। তবে এই খেলাধুলা কেবল মানুষ নয়, বেশিরভাগ প্রাণীর ভেতরেরও এক সহজাত প্রবৃত্তি। আর সেই খেলার মধ্যে প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিষয়টি আদিমযুগ থেকেই জুড়ে দিয়েছেন আমাদের পূর্বসূরিরা। 

 তবে কিছু প্রতিযোগিতা হার মানায় সাধারণ মানুষের কল্পনাকেও। তেমনি এক প্রতিযোগিতা হয়ে গেলো ব্রিটেনে। 

শনিবার ১৬০জন প্রতিযোগির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব শামুকদৌঁড়।

ঘোড়দৌঁড়, কুকুরদৌঁড় কিংবা পোষা ঈগলের শিকার প্রতিযোগিতা এসব নিয়ে আমুদে মানুষের বিলাসিতার অন্ত নেই, তাই বলে স্লথ গতির শামুক! 

বিস্মিত হতেই পারেন, তবে শামুক দৌঁড়ের প্রতিযোগিতাটার শুরুটাও একেবারে নতুন নয়। ১৯৬০ এর দশক থেকে গ্রেট ব্রিটেনে হয়ে আসছে অদ্ভুত এ প্রতিযোগিতার বিশ্ব আসর।

কোনও খোলা মাঠ নয়। একটা টেবিলের আর্দ্র কাপড়ের ওপর আঁকা হয় রেসিং ট্র্যাক। শামুকদের অতিক্রম করতে হয় ৩৩ সেন্টিমিটার ১৩ ইঞ্চি। আর নির্দিষ্ট কোনো স্টার্টিং বা ফিনিশিং লাইন নেই, আছে বৃত্ত। মাঝের বৃত্তে একসাথে শামুকদের রেখে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। যেটি আগে বাইরের বৃত্ত স্পর্শ করে সেটিই হয় বিজয়ী।

প্রতিযোগিরা নিজেদের শামুক নিয়ে বা আয়োজকদের কাছ থেকে শামুক নিয়ে অংশ নিতে পারেন। এবার ১৬০টি শামুক নিয়ে অংশ নিয়েছেন প্রতিযোগীরা। কয়েক ধাপে বাছাইয়ের পর অনুষ্ঠিত হয়েছে মূল পর্ব। যাতে সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন 'স্যামি দ্য স্নেইল', যার মালিক এক বৃটিশ শিক্ষক।


 

মারিয়া ওয়েলবি বলেন, আমি আজ যখন প্রথমবার এটাকে দেখেছি, তখন থেকেই মনে হয়েছিলো এটা বিশেষ। ছুটির দিনটা এমনভাবে কাটবে বা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবো তা ভাবিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শামুক দৌঁড় আমার একটা নতুন ক্যারিয়ার।

প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ ফি বাবদ শামুক প্রতি ২০ পেন্স আয়োজকদের দেন, যার পুরোটাই দেয়া হয় স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থাকে। ১৯৯৫ সালে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে 'আর্চি' নামের এক শামুক স্থান পেয়েছিলো এই প্রতিযোগিতা থেকে। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডে অতিক্রম করেছিল ১৩ ইঞ্চির এই দৌড়। ২০২০ সালের জুলাইয়ে আবারও বসবে শামুক দৌড়ের এই বিশ্ব প্রতিযোগিতা।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর