অবশিষ্ট চতুর্দশ আইপিএল আয়োজনে বিকল্প হিসেবে শুরু থেকেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম। করোনা আবহে ত্রয়োদশ আইপিএল সফলভাবে সেই দেশে আয়োজন করার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রথম পছন্দ হিসেবে আরব আমিরাতের নাম উঠে আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু একা আমিরাত নয়, সবদিক বিচার বিবেচনা করে বিকল্প হিসেবে ইংল্যান্ডের নামও উঠে এসেছিল আলোচনায়।
সেই সম্ভাবনাই আরও জোরালো হল ইংল্যান্ডের চারটি কাউন্টি ক্লাব আইপিএল আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করায়।মিডলসেক্স, সারে, ওয়ারউইকশায়ার এবং ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট ক্লাব চতুর্দশ আইপিএলের বাকি ৩১টি ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেক্ষেত্রে লন্ডনের লর্ডস এবং দ্য ওভাল, বার্মিংহ্যামের এজবাস্টন, ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন করতে পারে। বিসিসিআই ইংল্যান্ডকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে চেয়েছিল। এমন সময় চার প্রিমিয়র কাউন্টি ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করায় ইংল্যান্ডের মাটিতে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা যে বাড়ল, সন্দেহ নেই।
ভারতের মাটিতে চলতি বছরের শেষের দিকে কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা ব্যাপক। সুতরাং চতুর্দশ আইপিএল আর কোনওভাবেই দেশের মাটিতে করতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এমন সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত বিকল্প হিসেবে হাতে থাকলেও যেহেতু সেপ্টেম্বর উইন্ডো ছাড়া আইপিএল আর সম্ভব নয়, তাই আলোচনায় উঠে এসেছিল ইংল্যান্ডের নাম। কারণ জুনে ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার পর সেখানেই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল। তাই সেখানেই আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের কথা ভাবছিল বিসিসিআই।
সেক্ষেত্রে যতোটা পারা যায় ডাবল-হেডারের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ দিনের মধ্যে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ শেষ করার ভাবনায় রয়েছে ভারতীয় বোর্ড। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের জন্য এর চেয়ে ভালো মহড়া আর কিছু হতে পারে না। আর আমিরাতের পরিবর্তে ইংল্যান্ডে আইপিএলের বাকি অংশ অনুষ্ঠিত করার পিছনে আরও একটি যে যুক্তি কাজ করছে।
সেটা হল, আমিরাতে যেহেতু টি-২০ বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে তাই একই ভেন্যুতে আইপিএল আয়োজন থেকে সরে আসতে চাইছে বিসিসিআই। কারণ সেক্ষেত্রে আইসিসির ফ্ল্যাগশিপ টুর্নামেন্ট টি-২০ বিশ্বকাপে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিচের চরিত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত