অসাধারণ উইকেটকিপার, অনবদ্য ব্যাটসম্যান এবং সর্বোপরি দুর্দান্ত নেতা হিসেবে আরও একবার গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তিনি। যারা বলেছিলেন তিনি ফুরিয়ে গেছেন, চতুর্থবার চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়ন করে সেই নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপরেও উচ্ছ্বাসের অতিরিক্ত বহিঃপ্রকাশ নেই। বরং স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে চওড়া হাসিতেই বুঝিয়ে দিলেন তৃপ্তি। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েও যিনি গতকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে আরও একবার মন কাড়লেন ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ধোনির বয়স হয়েছে। এই বয়সে টি-টোয়েন্টির ধকল সামলানো কঠিন। এমন সমালোচনায় বার বার বিদ্ধ হতে হয়েছে তাকে। তবে চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং তার অগণিত সমর্থক ভরসা রেখেছিলেন ধোনির ওপর। আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন তিনি। করোনা বিঘ্নিত আইপিএলেও কখনও সেরা ফিনিশার হিসেবে কখনও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস রচনা করলেন। আর সেই সঙ্গে নিজের নামের পাশে তিনটি অনন্য রেকর্ড লিখে ফেললেন।
১. শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) অধিনায়ক হিসেবে ৩০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমেছিলেন ধোনি। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৩০০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। দেশকে ৭২টি ম্যাচে, চেন্নাইকে ২১৪ ম্যাচে এবং রাইসিং পুণেকে (আইপিএলের পুরনো দল) ১৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। সেই সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসের নেতা হিসেবে দশমবার ফাইনাল খেললেন তিনি।
২. বয়স সংখ্যামাত্র। দুবাইয়ে আইপিএল ফাইনালে আরও একবার তা প্রমাণ করলেন ধোনি। ৪০ বছর বয়সে তিনটির বেশি আইপিএল জয়ের নজির গড়লেন তিনি। শেন ওয়ার্ন যখন রাজস্থান রয়্যালসকে ট্রফি জিতিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ৩৯ বছর। ২০০৯ সালে ৩৭ বছর বয়সে ডেকান চার্জার্সকে চ্যাম্পিয়ন করেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। এক্ষেত্রেও তাই ধোনি সেরা।
৩. অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আটটি ট্রফি জিতলেন ধোনি। শুক্রবার চতুর্থবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল তার দল। পাশাপাশি দুইবার দলকে এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০০৭ সালে তার হাত ধরেই এসেছিল প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এছাড়া ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ধোনির টিম ইন্ডিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
