আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিশ্রামের কথা বলে হইচই ফেলে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কাজে দুবাইয়ের বিমান ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান। গত ৬ মার্চ দুবাইয়ের বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন না। তার এই বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এরপর বিসিবি তাকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছুটি দেয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে দেশে ফিরলেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার।
২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত টেস্ট খেলছেন না সাকিব। ২৭ টেস্টের মধ্যে ১৮টি খেলেননি। অধিনায়ক মুমিনুল হকের নেতৃত্বে ১৩ টেস্টের মাত্র ৩টি খেলেছেন। অথচ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে নিঃসন্দেহে দেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডের জন্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচক প্যানেল। কিন্তু মানসিক ও শারীরিক অবসাদের কারণে সাকিবকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। বিশ্রাম দিলেও টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০-তিন ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেই রেখেছে বিসিবি।
চুক্তির বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দিলেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল নান্নু এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন- ‘বোর্ড সাকিবকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম দিয়েছে। এরপর থেকে ওকে পাওয়া যাবে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে তিন ফরম্যাটেই ওকে পাওয়া যাবে। অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। সেই হিসেবে ওর কাছ থেকে সেরাটাই আমরা চাই, যখনই ওকে পাব। সে জন্য ওকে তিন ফরম্যাটে রাখা হয়েছে। যেহেতু এ বছর আমাদের অনেক খেলা আছে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ