গেল মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে সেনেগালের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হার, বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে মিশর। কাতার বিশ্বকাপে এবার মিশর নামে কোনও দেশ খেলছে না। তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়েও বেশি আলোচনা হচ্ছে লেজার লাইট নিয়ে! অনেকের কাছেই সেনেগালের খেলোয়াড়দের ক্যারিশমা নয়, সাদিও মানেরা জিতেছেন লেজার লাইটের কারসাজিতে। ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়ে সেনেগাল সমর্থকরা মিশরের খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে লেজার লাইট মেরে তাদের বিভ্রান্ত করেছে। পেনাল্টি শুটআউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়েও মিশরের খেলোয়াড়দের চোখ-মুখ ছেয়ে গিয়েছিল লেজারে। মিশরের গোলরক্ষক রেহাই পাননি।
মিশরের নাম্বার ওয়ান ফুটবল তারকা সালাহ পেনাল্টি মিস করার প্রশ্ন ওঠে, তবে লেজার রশ্মিতেই মিশর হেরে গেল? প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন নিশ্চয়, লেজারের আলোই তাকে বিভ্রান্ত করেছে হয়তো। পেনাল্টি শুটআউটের পুরোটা সময় মিশরীয় ফুটবলারদের লেজারের আলোয় ঘিরে রেখেছে সেনেগাল সমর্থকেরা। সালাহ যখন পেনাল্টি নিতে এলেন, সবুজ লেজার তাকেও ঘিরে ধরেছিল। মনে হয়েছে ফুটবল মাঠ নয় ভুল করে নাইট ক্লাবে আলোর মুর্ছনাতেই ঢুকে পড়েছেন সালাহ। শুধু সালাহই নন, জিজো আর মোস্তফা মোহাম্মদও মিস করেছেন পেনাল্টি। প্রত্যেকের মুখেই পড়েছিল লেজারের রোশনাই।
তবে সেনেগালকে এই কৌশল শিখিয়েছে সালাহর দেশ মিশরই। প্রথম লেগেই কায়রোতে সেনেগালের খেলোয়াড়দের লেজারের আলোয় বিভ্রান্ত করেছিল মিশর সমর্থকেরা। সেই ম্যাচটি মিশর জিতেছিল ১-০ গোলে। ফলে মঙ্গলবার ডাকারে আসা সেনেগালিজ ভক্তরাও একই কাজ করলেন। তাতে কপাল পুড়ল মিশরের। অবশ্য শুধু লেজার মেরেই ক্ষান্ত হয়নি সেনেগালের সমর্থকরা, ম্যাচ শেষে সালাহর দিকে উদ্দেশ্য করে পানির বোতল, ক্যানও ছুড়ে মেরেছে। পরে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় সালাহকে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাস দুয়েক আগে এই সেনেগালের কাছে হেরেই আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মিশর। এই পেনাল্টি শুটআউটেই হেরেছিল সালাহরা। এবার একই দলের কাছে একই রকমের হারে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হাতছাড়া মিশরীয়রা। দোষটা এবার মিশর কাকে দেবে, লেজার লাইট নাকি কপালের?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল