লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসকে ২৪ রানে হারালো রাজস্থান রয়্যালস। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি লক্ষ্মৌ।
এদিন ম্যাচ জেতায় রাজস্থানের অর্জন হলো মোট ১৬ পয়েন্ট। খুব বড় অঘটন না হলে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত তাদের। ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চাপ বেড়ে গেল। কলকাতার জন্য পড়ে থাকল শুধু চতুর্থ স্থানই। কারণ তারা কোনোভাবেই শেষ ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে না।
কলকাতা পরের ম্যাচে লক্ষ্মৌকে হারালে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছাবে। একই পয়েন্ট ইতিমধ্যেই রয়েছে বেঙ্গালুরুর। অন্যদিকে, সোমবার মুখোমুখি হবে দিল্লি-পাঞ্জাব। দু’দলেরই দুটি করে ম্যাচ বাকি এবং ১২ পয়েন্ট। ফলে সোমবার তাদেরও একজন কেউ পৌঁছাবে ১৪ পয়েন্টে।
হায়দরাবাদ শেষ দুটি ম্যাচে জিতলে তাদেরও হবে ১৪ পয়েন্ট। তবে বৃহস্পতিবার গুজরাটকে যদি বেঙ্গালুরু হারিয়ে দেয়, তাহলে তারাই শেষ চারে পৌঁছাবে। সে ক্ষেত্রে, কলকাতা, হায়দরাবাদ ছিটকে যাবে। দিল্লি বা পাঞ্জাবের মধ্যে কেউ একজন বেঙ্গালুরুর সঙ্গে শেষ চারের লড়াইয়ে থাকবে।
রবিবার রাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি রাজস্থান। ৬ বলে ২ রান করে আবেশ খানের বলে আউট হন ব্যাটিংয়ে তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা জশ বাটলার। এরপর যশ্বসী জাসওয়ালের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন অধিনায়ক স্যামসন। ৬ চারে ২৪ বলে ৩২ রান করে তিনি ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ৪১ রান করে আউট হন জাসওয়াল।
এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর খানিকটা বিপদে পড়ে রাজস্থান। তবে দেবদূত পাড্ডিকেলের ৫ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে বেশ ভালো সংগ্রহ পায় রাজস্থান। লক্ষ্মৌর পক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রবি বিষ্ণয়।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে চাপের মুখে পড়ে লক্ষ্মৌ। দুই ওপেনারের মধ্যে কুইন্টন ডি কক ৮ বলে ৭ ও লোকেশ রাহুল ১৯ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। তিন নম্বরে খেলতে নামা আয়ুশ বাদোনি ট্রেন্ট বোল্টের বলে কোনো রান না করেই আউট হন।
ওই চাপ থেকে আর বের হতে পারেনি রাজস্থান। ৩৯ বলে ৫৯ রান করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দ্বিপক হুদা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেননি। ক্রুনাল পান্ডিয়ার ২৩ বলে ২৫ ও মার্কোস স্টয়নিসের ১৭ বলে ২৭ রানের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। রাজস্থানের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন ট্রেন্ট বোল্ট, প্রষিধ কৃষ্ণা ও ওবেদ ম্যাকোয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই