রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে হলো দুই ফরম্যাটের বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টিতে তারুণ্য নির্ভর দলের পাশাপাশি সেখানে টি-টোয়েন্টি থেকে আপাতত সরিয়ে দেওয়া অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যেমন ছিলেন, ছিলেন এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া তামিম ইকবালও। তারা অবশ্য এসেছিলেন ওয়ানডে দলে থাকায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আমি সবার আগেই বলেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ। কোন ব্যক্তি, কোন নাম, কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা চাই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ভালো করি, বোর্ড চায়...আমরা এই ফরম্যাটটা ভালো খেলছি না। এই ফরম্যাটে সময় এসেছে আমরা অন্য কিছু করতে পারি কি না।’
ক্রিকেটারদের পেশাদারিত্বের বার্তা দিয়েছেন জানিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা অনেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এসব স্পর্শ করতে পারি না। কিন্তু আজকে ছেলেদের একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি যে পেশাদারিত্ব তৈরি করতে। আমাদের পেশাদার হতে হবে। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।’
‘হ্যাঁ, আমাদের অনেকের মন খারাপ হতে পারে। বাদ পড়লে মন খারাপ হবে স্বাভাবিক। দলে ঢুকলে মন খুশি হয়। ভালো খেললে ভালো লাগে, খারাপ খেললে খারাপ লাগে। ক্রিকেট একটা সাইকোলোজিক্যাল গেম, এখানে সবচেয়ে বেশি মেন্টাল প্রেশারটা আসে। আমরা কেন ভালো খেলি না? মেন্টাল টাফনেসের কারণেইতো এমন হয়? আমার কথা হচ্ছে যতদিন পর্যন্ত এসব সংস্কৃতি আমরা তৈরি করতে পারবো না ততদিন পর্যন্ত ভালো একটা দল হয়ে উঠতে পারবো না।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ