ইংল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্দির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শুনানি চলছে। শুনানিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এক অভিযোগকারী নারী। ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে ম্যানসিটির ২৮ বছর বয়সী ফুটবলার মেন্ডির ধর্ষণের ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছেন ওই নারী। যা আদালতকে শোনানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, মেন্ডির লকার রুম ছিল। যেটা আঙুলের ছাপ দিয়ে খোলা হতো। এছাড়া ভুক্তভোগী নারী শারীরিক সম্পর্কে মত না দিলে মেন্ডি তাকে বলেন যে- তিনি ১০ হাজার নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এটা কোন ব্যাপার না।
ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ আনা ওই নারী বলেছেন, তাকে রুমে নিয়ে মেন্ডি পোশাক খোলার জন্য বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় জোর করতে থাকেন এবং বলেন যে, কেবল দেখবেন, স্পর্শও করবো না। এরপর যেতে দেবেন।
ওই নারী দাবি করেছেন, তিনি রাজি না হওয়ায় মেন্ডি কাছে এসে ফোন কেড়ে নেন এবং বেডে ছুড়ে মারেন। তিনি ফোন নিতে গেলেই মেন্ডি তার সঙ্গে জোরজবস্তি করে। বারবার না করার এক পর্যায়ে তাকে অল্পের জন্য ছেড়ে দেন এবং বলেন, ‘তুমি অনেক লাজুক। জানো, আমি ১০ হাজার নারীকে শয্যাসঙ্গী করেছি।’
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লুই সাহা মাতুরি নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে নারীদের ফাঁদে ফেলতেন মেন্ডি। নারীদের নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অসভ্যতা করতেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মাতুরিকে এ জন্য মোটা টাকাও দিয়েছেন মেন্ডি। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফুটবলারের বাড়ির দরজার সিসিটিভি-র ভিডিও আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এ ঘটনা নিয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ভিকটিমদের সকলেই মেন্ডির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কয়েকজন আদালতে অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণও দাখিল করেছেন। সাক্ষীদের মধ্যে সাতজন মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মেন্ডিকে। আটজন মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মাতুরিকে। আটবার ধর্ষণ, এক বার যৌন হেনস্থা এবং একবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ২৮ বছরের ফরাসি ফুটবলারের বিরুদ্ধে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও ডেইলি মেইল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
