ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় হানিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ। তার বিদায়ে এই সংস্করণে নতুন অধিনায়কের খোঁজে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়কের দৌড়ে কেউ কেউ রাখছেন প্যাট কামিন্সকে। তবে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। এই পেসারের মতে, প্রতিটি ম্যাচ খেলতে হলে তিন সংস্করণে একজন অধিনায়ক যৌক্তিক নয়।
গত শনিবার ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ফিঞ্চ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরদিন খেলা ম্যাচটি ছিল এই সংস্করণে তার শেষ। আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখন নতুন অধিনায়কের খোঁজে আছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এখনই অবশ্য নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে হচ্ছে না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মাঝে তাই দুই মাসের মতো সময় পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণের দায়িত্বও ছেড়ে দিতে পারেন ফিঞ্চ, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন তিনি। তেমনটা হলে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণের জন্য অধিনায়ক প্রয়োজন হবে অস্ট্রেলিয়ার।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে কামিন্সের পাশাপাশি স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যালেক্স কেয়ারির নামও শোনা যাচ্ছে। টেস্টের নেতৃত্বে কামিন্সের শুরুটা হয়েছে দারুণ। অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানে জয়, শ্রীলঙ্কায় সিরিজ ড্র করেছে তার দল।
তবে ওয়ানডেতে নিয়মিত নন এই পেসার। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ ৬৬ ম্যাচের ২৮টিই খেলেননি কামিন্স। টেস্ট নেতৃত্ব নেওয়ার সময়ই তিনি বলেছিলেন, অন্য দুই সংস্করণের অধিনায়কত্ব তার ভাবনায় নেই। তবে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিজের আগ্রহের কিছুটা ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
কামিন্স জানান, যদি সব সংস্করণে ও প্রতিটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে হয়, আমার কাছে মনে হয় না এটা বাস্তবসম্মত। বিশেষ করে ফাস্ট বোলার হিসেবে আমার মনে হয়, বিশ্রামের সুযোগ রাখতে হবে। তবে এটাও চাইলে করা সম্ভব বলে আমার মনে হয়।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল টেম্পারিং কাণ্ডে অধিনায়ক স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ করা হয়। নেতৃত্বে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান স্মিথ। আর আজীবনের জন্য ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব নিষিদ্ধ করা হয়।
স্মিথ অবশ্য এরই মধ্যে নেতৃত্বে ফিরেছেন। গত বছরের নভেম্বরে কামিন্সকে নতুন টেস্ট অধিনায়ক করার সময় স্মিথকে করা হয় সহ-অধিনায়ক। কামিন্স কোভিড আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসায় অ্যাশেজের অ্যালিডেইড টেস্ট থেকে ছিটকে পড়লে ওই ম্যাচে দলকে নেতৃত্বও দেন স্মিথ।
৩৫ বছর বয়সী ওয়ার্নার গত মাসে বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করার পর থেকে তার নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আলোচনা চলছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করার দিন ওয়ার্নার বলেছিলেন, বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে তৈরি আছেন তিনি। ফিঞ্চ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানায় ওয়ার্নার নতুন করে তুললেন একই কথা। বললেন, অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিতে পারা তার জন্য হবে বিশেষ কিছু।
ওয়ার্নার বলেন, প্যাট ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় কিনা এটা অবশ্যই মূল বিষয়। সে টেস্ট অধিনায়ক এবং প্রথম সুযোগটি তার। তবে আমাকে অধিনায়কত্ব করার যেকোনো সুযোগ দেওয়া হলে সেটা হবে বিশেষ পাওয়া।
প্রসঙ্গত, ভারত সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে নেই ওয়ার্নার। তাই আগামী অক্টোবরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভার আগে বোর্ডের সঙ্গে বসার সুযোগ রয়েছে তার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ