ক্যারিয়ার লম্বা করতে বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচকে বিদায় জানালেন রুবেল হোসেন। আগামী অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগ থেকে লাল বলে আর থাকছেন না এই পেসার। নিজের সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে বিসিবিকে জানিয়েছেন রুবেল। তবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা সরাসরি না বললেও আন্তর্জাতিকে লাল বলে যে তার সুযোগ অনেকটাই ক্ষীণ রুবেল তা জানেন।
রুবেল জানিয়েছেন, আমি নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটে আর বিবেচেনা করছি না। এজন্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নেই। আমার পরিবর্তে নতুন একজন পেসার সুযোগ পেলে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
লাল বলের প্রতি নিজের ভালোবাসা থাকলেও বয়স বাড়ায় এ ফরম্যাটে ভবিষ্যৎ ধূসর মনে হচ্ছে ডানহাতি পেসারের কাছে, বয়স বাড়ছে। আমার নিজের শরীরেরও তো একটি বিষয় আছে। এজন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমার মনোযোগ বেশি। টেস্ট ক্রিকেট আমি পছন্দ করি। কিন্তু এখন আমার শরীর নিয়ে একটু ভাবতে হচ্ছে।
সাদা পোশাক ও লাল বল নিয়ে নিজের ভালোবাসার কথা রুবেল জানালেও মাঠের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান উল্টো তথ্যই দিচ্ছে। ১২ বছরের বেশি টেস্ট ক্যারিয়ারে কখনোই খুব বেশি কিছু করতে পারেননি।
রুবেল সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২০ পাকিস্তান সফরে। সেই থেকে সাদা পোশাকে আর বিবেচনা করা হয়নি এ পেসারকে। ২০২১ নিউজিল্যান্ড সফরে সংক্ষিপ্ত সিরিজের পর আর জাতীয় দলে রুবেলকে নিয়ে ভাবা হয়নি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অতিরিক্ত হিসেবে থাকলেও এরপর দল থেকে ছিটকে গেছেন বহুদূর। বর্তমানে জাতীয় দলের পেস বোলারদের ভিড়ে রুবেল হোসেনের নামটা আর উচ্চারিত হয় না। তাই নিজে থেকেই সরে যাওয়ার পথ বেছে নিলেন এ পেসার। ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭ টেস্টে ৭৬ গড়ে নিয়েছেন মাত্র ৩৬ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার। এছাড়া ১০৪ ওয়ানডেতে ১২৯ উইকেট নিয়েছেন। একবার ৫ ও সাতবার ৪ উইকেট নিয়েছেন। আর ২৮ টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ২৮ উইকেট।
জাতীয় দলের বর্তমান স্কোয়াডে পেস বোলারদের লম্বা লাইন ও পাইপলাইনে থাকা পেসারদের ভিড়ে রুবেল হারিয়ে যাবেন না তো? রুবেল এমনটা বিশ্বাস করেন না, ভালো খেললে আবার আমি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে পারি। প্রিমিয়ার লিগ আছে, বিপিএল আছে সেগুলোতে ভালো করলে অবশ্যই নির্বাচকরা আমাকে ডাকবেন। বিবেচনায় রাখবেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ