৪১ বলে সেঞ্চুরি। না, প্রথম সারির ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের কোনো ব্যাটারের কীর্তি নয়। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিলেন আইসিসির সহযোগী দেশের এক ক্রিকেটার। আইসিসি পুরুষদের ওডিআই বিশ্বকাপের লিগ-২তে নেপালের বিরুদ্ধে ৪১ বলে শতরান হাঁকিয়ে ইতিহাসে ঢুকে পড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটার আসিফ খান।
আসিফের এই সেঞ্চুরি পুরুষদের ওডিআই ফর্ম্যাটে চতুর্থ দ্রুততম শতরান। আইসিসি-র সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে আসিফই দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। এই সেঞ্চুরির সৌজন্য আমিরাতের আসিফ পেছনে ফেলে দিয়েছেন বিরাট কোহলি, ব্রায়ান লারা, জস বাটলারদের। কোহলির ওডিআইতে ৫২ বলে সেঞ্চুরি রয়েছে। লারার ৪৫ বলে। বাটলার ৪৬ বলে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি।
টি-২০র ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের যুগে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড ভাঙা এবং গড়া হয়। তারই মাঝে আন্তর্জাতিক ওডিআই ফর্ম্যাটে নতুন ইতিহাস গড়লেন আসিফ। এমন বিধ্বংসী শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি যাতে শাহিদ আফ্রিদি, এবি ডে ভিলিয়ার্সদের রেকর্ড বেঁচে গেছে অল্পের জন্য। পেছনে পড়ে গেছেন লারা, কোহলিরা।আসিফ খান একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে খেলেন ৩৩ বছরের ডানহাতি ব্যাটার। নেপালের বিরুদ্ধে নেপালের কীর্তিপুরে ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
প্রথমে ব্যাট করে ইউএই-র ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আরব আমিরাতের এ দিনের ম্যাচের নায়ক আসিফ খান। ৪২ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলে আসিফ ঢুকে পড়েছেন ইতিহাসে। নেপালের কীর্তিপুরের মাঠে চার, ছক্কার বন্যায় দর্শকদের মাতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ২৪০ স্ট্রাইক রেটে তিনি ১১টি ছয় ও ৪টি চার হাঁকান। তার বিধ্বংসী ইনিংসে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১০ রান তুলে আমিরাত।
আলোকস্বল্পতার ফলে নেপালের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্য ছিল ৪৪ ওভারে ২৬১ রান। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাচ টাইয়ের পর ষষ্ঠ বলে জয় নিশ্চিত হয় নেপালের। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৯ রানে জিতেছে নেপাল।
এই জয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নেপাল জায়গা পেয়ে গেলো।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ