দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১৩তম ম্যাচে পাওয়া অষ্টম জয়ে মুম্বাইয়ের পয়েন্ট এখন ১৬। দলটি আছে পয়েন্ট তালিকার চারে।
সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে দিল্লি। দুই দলের একটি করে ম্যাচ হাতে আছে। যার অর্থ, মুম্বাই শেষ ম্যাচে হারলে ও দিল্লি শেষ ম্যাচে জিতলেও অবস্থানের কোনো হেরফের হবে না।
বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় মুম্বাই। ৫ উইকেটে ১৮০ রানের পুঁজি গড়ে তারা। ৪৩ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার যাদব। জবাবে ১২১ রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি।
এদিন ‘ঘরের ছেলে’ রোহিত শর্মাকে নিয়ে মেতেছিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দর্শকরা। তবে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন রোহিত।
মুম্বাইয়ের মন্থর পিচে এদিন দলকে টানেন সূর্যকুমার যাদব। সাত ওভারের মধ্যে ৫৮ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল মুম্বাই। সেখান থেকে ইনিংস গড়েন সূর্য। ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। সঙ্গত করেন তিলক বর্মা (২৭) এবং নমন ধীর (২৪)। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সূর্যের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ১৮০ তে পৌঁছে যায় মুম্বাই। এদিন অসুস্থতার জন্য খেলতে পারেননি দিল্লি অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। মন্থর পিচে তার মতো বোলারের অভাব যথেষ্ট ভোগায় দিল্লিকে।
১৮০ রানের টার্গেট বেশ কঠিন ছিল মুম্বাইয়ের পিচে। সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারলেন না কে এল রাহুলরা। দিল্লির টপ অর্ডার একেবারে ব্যর্থ। রাহুল (১১), ফ্যাফ ডু'প্লেসিস (৬), অভিষেক পোড়েল (৬) কেউই রান পাননি। সামির রিজভি সর্বোচ্চ ৩৯ রান করলেও দলকে জেতানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে থামল দিল্লির ইনিংস।
গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পাঞ্জাব কিংসের—আগেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছিল। চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট কাটল মুম্বাই।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম