ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার আলেক্স ফার্গুসনের অধীনে খেলা শেষ প্লেয়ার হিসেবে ছিলেন জনি ইভান্স। সম্প্রতি ইউনাইটেড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই নর্দার্ন আইরিশ ডিফেন্ডার। এবার পেশাদার ফুটবলকেই বিদায় জানালেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী ইভান্সের বিদায়ে একটি যুগের শেষ ঘটল। ১৯৮৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়া স্যার ফার্গুসনের অধীনে যাদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল, তাদের মধ্যে ইভান্সই ছিলেন শেষ সক্রিয় খেলোয়াড়। তিনি ২০০৬ সালে ইউনাইটেডের হয়ে সিনিয়র দলে অভিষেক করেন।
নিজ ক্যারিয়ারে ইভান্স খেলেছেন ৫৩৬টি ক্লাব ম্যাচ, করেছেন ২৪ গোল ও ১৬টি অ্যাসিস্ট। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ১০৭ ম্যাচ, যেখানে তার নামের পাশে রয়েছে ৬ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট। দেশের হয়ে শততম ম্যাচ খেলা চারজন ফুটবলারের একজন তিনি।
ইভান্স ক্লাব ক্যারিয়ারে শুরু করেছিলেন ইউনাইটেড থেকেই। প্রথম মৌসুমেই ধারে খেলেছেন বেলজিয়ামের রয়্যাল অ্যান্টওয়ার্প ও ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ডে। ২০১৫ সালে ইউনাইটেড ছেড়ে যোগ দেন ওয়েস্ট ব্রোমউইচ অ্যালবিয়নে। সেখান থেকে যান লেস্টার সিটিতে এবং ২০২৩ সালে ফিরে আসেন শৈশবের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
যদিও বড় তারকা ছিলেন না, তবুও সফলতার দিক থেকে ইভান্সের ক্যারিয়ার বেশ উজ্জ্বল। ম্যানইউর হয়ে জিতেছেন ১২টি ট্রফি, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও একটি ক্লাব বিশ্বকাপ। এছাড়া সান্ডারল্যান্ডের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নশিপ ও লেস্টারের হয়ে একটি এফএ কাপ।
ইভান্সের বিদায়ে ২০২৫ মৌসুম থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দলে আর কেউ থাকছে না, যার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছিল স্যার ফার্গুসনের। এই বিদায় শুধু একজন ডিফেন্ডারের নয়, একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়েরও পরিসমাপ্তি।
বিডি প্রতিদিন/মুসা