দলের সংকটের মুহূর্তে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন জো রুট। কার্ডিফে তার ১৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩০৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেটা জিতেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশরা জিতেছে ৩ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটাও এক ম্যাচ হাতে থাকতে জিতে গেছে ইংলিশরা।
বার্মিংহামে একপেশে লড়াইয়ে উইন্ডিজকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। কার্ডিফে হলো সমানতালে লড়াই। তবে পার্থক্য গড়ে দিলেন রুট। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দলকে জেতালেন তিনি। মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ড্রেসিংরুম থেকে পেলেন দাঁড়িয়ে করা সম্ভাষণ। ভাগ্য তার সঙ্গে ছিল। আম্পায়ার আদ্রাইন হোল্ডস্টোক ৭ রানে তাকে জীবন দেন এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে দিয়ে। দুইবার রান আউট হতে হতে বেঁচে গেলেন রুট। তারপর সাবলীল ব্যাটিংয়ে ২১ চার ও ২ ছয়ে ১৩৯ বলে ১৬৬ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলেন তিনি।
২ উইকেটে ২ রানের সময় ক্রিজে আসেন রুট। হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। ব্রুকের ব্যাটে আসে ৪৭ রান। দল বিপদে পড়েছিল তাদের টপ অর্ডারের ৫ জনের মধ্যে তিন জন ডাক মারলে। একটা সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১৩৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
এরপর উইল জ্যাকস রুটের সঙ্গে যোগ দিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৪৩ রান যোগ করেন। আলজারি জোসেফ এই জুটি ভাঙলেও রুট থামেননি। জ্যাকস ৪৯ রানে আউট হন। রুট তার ১৮তম সেঞ্চুরিকে প্রথমবার দেড়শ ছাড়িয়ে নেন।
রুট অপরাজিত থাকলেন। হলেন ম্যাচসেরাও। একই সঙ্গে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লিখলেন তিনি। তার রান এখন ৭০৮২, পেছনে ফেলেছেন মঈন আলীকে (৬৯৫৭)। ৪৮.৫ ওভারের মধ্যে ৭ উইকেটে ৩১২ রান করে জয় পায় ইংল্যান্ড।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্র্যান্ডন কিং ও কিসি কার্টির ১৪১ রানের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শক্ত সংগ্রহের দিকে ছুটছিল। কিন্তু শেষদিকে ১৪ বলের এক ঝড়ে তারা উইকেট হারাতে থাকলে স্কোর যত বড় হওয়ার কথা, তা হয়নি। ৪৭.৪ ওভারে ৩০৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী দল।
কিং ৫৯ রান করে আউট হন। কার্টির ১০৩ রানের ইনিংসে ছিল ১৩ চার। শাই হোপের ৭৮ রানের ইনিংসও ভালো ভূমিকা রাখে। শেষ দিকে গুডাকেশ মোটির ৯ বলে ১৮ রান এবং আলজারির ৩ বলে ১০ রানের ক্যামিওতে তিনশ পার করে উইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ চার উইকেট নেন। সাকিব মাহমুদ পান ৩ উইকেটে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম