দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে আইপিএল চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মাথায়। আর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আবেগে ভেসে গেলেন ‘কিং’ বিরাট কোহলি। মাঠেই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল ও প্রতিক্রিয়াশীল তারকাদের একজন।
বিরাট কোহলির নামের পাশে অনেক আগেই বসেছে ‘কিং’ তকমা। তার ব্যাটিং, নেতৃত্ব আর লড়াইয়ের মানসিকতা তাঁকে করে তুলেছে আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা রাজপুত্র। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতা থাকলেও আইপিএল ছিল সেই একমাত্র মঞ্চ, যেখানে ছিল অপূর্ণতা। অধিনায়ক হিসেবে তিনবার ফাইনালে গিয়েও ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। এবার সহ-অধিনায়কত্বে সেই অপূর্ণতার অবসান ঘটল।
ফাইনালের শেষ ওভারে যখন নিশ্চিত হয় বেঙ্গালুরুর জয়, তখনই ক্যামেরা ধরা পড়ে বিরাট কোহলির চোখে জল। হ্যাজেলউডের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ম্যাচ আর জিততে পারছে না পাঞ্জাব। সেই মুহূর্তে বিরাট হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ফেলেন, কোমরের টাওয়েল দিয়ে চোখ মুছতে থাকেন। এরপর আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি। মাঠেই বসে পড়েন, এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
১৯.৪ ওভারে যখন পরবর্তী বলের জন্য আবার উঠে দাঁড়ান, তখন দর্শকদের সামনে দেখা যায় এক নতুন কোহলিকে, যিনি নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করে মুক্তির আনন্দে চোখের জল ফেলছেন।
ফাইনালে কিছু সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোহলি। ধীর ইনিংস, কম স্ট্রাইক রেট। তবে ম্যাচ শেষে বিরাট জানিয়ে দেন, “আমি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হতে চাই না, আমি মাঠে ইমপ্যাক্ট ফেলতে চাই। ২০ ওভার ফিল্ডিং করে, প্রতিটি বলের পেছনে ছুটে দলকে কিছু দিতে চাই।”
ওডিআই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এবং এবার আইপিএল—সবই জিতে নিয়েছেন কোহলি। সাদা পোশাকে টেস্ট ক্রিকেটকে ইতিমধ্যেই বিদায় জানিয়েছেন তিনি। এখন শুধুই রয়ে গেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, যা তিনি ভবিষ্যতের তরুণদের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা