নেপালে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির হাজারও ছাত্র-জনতার এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত বিক্ষোভকারী। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার।
এ পরিস্থিতিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার ফিফা প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। যদিও বাংলাদেশকে আগামীকাল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)।
সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘গ্যালারিশূন্য স্টেডিয়ামেও ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ যেখানে জনগণ পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছে, সেখানে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।’
বাফুফে থেকেও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। তারা নেপালের নানা প্রস্তাব সত্ত্বেও খেলতে আগ্রহী হয়নি।
সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ নেপালে দু’টি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল। গত পরশু প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল স্বাগতিকদের বিপক্ষে। আগামীকাল মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত