কৃত্রিম উপগ্রহ 'নিউ হরাইজেন'কে নিক্ষেপ করা হয় ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি। এরপর ধীরে ধীরে প্লুটোর উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায় নিউ হরাইজেন। ওই বছরের ২৮ মার্চ সর্বপ্রথম আকাশ থেকে নাসার কাছে প্লুটোর ছবি পাঠায় কৃত্রিম উপগ্রহটি। তারপর প্লুটোর কাছে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৯ বছর। চলতি বছরের ১৫ মে প্লুটোতে পৌঁছায় নিউ হরাইজেন। প্লুটো সম্বন্ধে নাসার জানানো গুরুত্বপূর্ণ ৫টি তথ্য তুলে ধরা হল।
প্লুটোর প্রকৃত আয়তন: এতোদিন বিজ্ঞানীরা প্লুটোর আয়তন সম্পর্কে যে ধারণা দিচ্ছিলেন তার চাইতে কয়েকগুণ বেশি এই গ্রহের প্রকৃত আয়তন। নিউ হরাইজেনের পাঠানো প্লুটোর ব্যস ১ হাজার ৪৭৩ মাইল। ১৯৩০ সালে প্লুটোর আবিষ্কারের পর থেকেই এর ব্যস সম্পর্কে দ্বিমত ছিল। কিন্তু কৃত্রিম উপগ্রহর আসল আয়তন পাঠানোর পর থেকে অবসান হয়েছে সকল দ্বন্দ্বের।
হৃদয়ের সন্ধান: প্লুটোর হৃদয়ের খোঁজ পায় নিউ হরাইজেন। ৫ লক্ষ মাইল দূরে থাকার সময় একটি উজ্জ্বল হার্ট আকৃতির অবয়বের হদিস পায় এই গ্রহটি। যার ব্যস হল প্রায় ১ মাইল। কিন্তু আসলে কি আই হার্ট তা এখনও পর্যন্ত জানতে পারা যায়নি।
ভূতত্ত্ব: নিউ হরাইজেন প্লুটোর মাটিতে অদ্ভুত কিছু আকৃতি আবিষ্কার করেছে। যার মধ্যে নাসা একটি নাম দিয়েছে 'তিমি (Whale)'। এছাড়া একটি উজ্জ্বল ডোনাট আকৃতির হদিস পেয়েছে। ভলক্যানোর ফলে মাটির আকৃতি এমন হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
উপগ্রহ আবিষ্কার: ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ হরাইজেন প্লুটোর দুটি উপগ্রহের সন্ধান পায়। চাঁদের মতই সেগুলি প্লুটোকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি হল হাইড্রা এবং অপরটি হল নিক্স।
শ্যারনের উদ্ধার: শ্যারন নামে প্লুটোর সব থেকে বড় উপগ্রহের আবিষ্কার করে নিউ হরাইজেন। এই উপগ্রহর উপর এবং নিচের দিকটি অদ্ভুত কালো। যার থেকে মনে করা হচ্ছে এটি অ্যান্ট পোলার ক্যাপ হিসেবে কাজ করে। তবে এই গ্রহের সঙ্গে শ্যারনের কোনও যোগাযোগ এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রে অবস্থান করে প্লুটো এবং শ্যারন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা