এবার আকাশের রঙ বদলে দেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার সংস্থা 'নাসা'। ঘাবড়ে গেলেন! চিন্তার কোন কারণ নেই। নাসার পরবর্তী প্রকল্প ঠিক এটাই। অবশ্য শুধুশুধু আকাশ রং করার পাগলামি নাসা দেখাচ্ছে না। সংস্থার তৈরি একটি রকেট উৎক্ষেপণের সময় তৈরি হবে হরেক রঙের কৃত্রিম মেঘ। এই মেঘ স্থানীয় ভাবে ছড়িয়ে গিয়ে বদলে দেবে আকাশের রং।
রবিবার রাতে রকেট উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও, ঝড়ো হাওয়া-সহ খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। ভার্জিনিয়ার ওয়ালুপ ফ্লাইট ফেসিলিটি এরিয়ায় রকেট উৎক্ষেপিত হলে, ওই এলাকার আকাশে দেখা যেত অন্য রং। মূলত রাতের আকাশেই এই রং ছড়াতো কৃত্রিম মেঘ। আমেরিকার পূর্ব উপকূল বরাবর অঞ্চলের মানুষদের চোখে পড়ত আকাশের ভোলবদলের ছবি। মূলত নিউ ইয়র্ক থেকে উত্তর ক্যারোলিনার মানুষ চাক্ষুষ করতে পারতেন এই নজিরবিহীন দৃশ্য। তবে হাল ছাড়ছে না নাসা। সোমবার রাতেও রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা বলছেন, আকাশে ওড়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রকেট থেকে ১০টি নরম পানীয়ের বোতলের মাপের কৌটো বেরিয়ে আসবে, যেগুলি থেকে নির্গত হবে ব্যারিয়াম, স্ট্রোনটিয়াম ও কুইপ্রিক অক্সাইডের মতো গ্যাসের বাষ্প। সেখান থেকে উৎপাদিত হবে নীল-সবুজ ও লাল রংয়ের কৃত্রিম মেঘ। শুধু বিজ্ঞানীরাই নন, রকেট উৎক্ষেপণস্থল থেকে এই মেঘের খেলা দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষও। তাদের জন্য নাসার সংরক্ষিত এলাকাটি খুলে দেওয়া হবে স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ। আর যারা চাক্ষুষ করতে পারবেন না , নাসা হতাশ করছে না তাঁদেরও। সংস্থার ওয়েবসাইট ও ফেসবুক, টুইটারেরই দেখা যাবে সে ছবি। ৮ মিনিটের উড়ানে রকেটের মূল অংশ গিয়ে পড়বে আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে, ভার্জিনিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে। এবার শুধু অপেক্ষা আকাশে রংয়ের খেলা দেখার। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার