১৩ জুলাই, ২০১৯ ১৭:৪৫

সংঘর্ষের পথে ‌অতিকায় ২ কৃষ্ণ গহ্বর, আশঙ্কা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের!

অনলাইন ডেস্ক

সংঘর্ষের পথে ‌অতিকায় ২ কৃষ্ণ গহ্বর, আশঙ্কা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের!

পরস্পরের একদম কাছাকাছি চলে এসেছে দুটি অতিকায় কৃষ্ণ গহ্বর। এতোটাই কাছে যে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষের পর দুটি কৃষ্ণ গহ্বর মিশে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। হাবল দূরবীক্ষণের তিন নম্বর ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, পৃথিবী থেকে ২.‌৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ছায়াপথের দুটি কৃষ্ণ গহ্বর এসডিএসএস জে১০১০ এবং ১৪১৩ কৃষ্ণ গহ্বর দুটি কাছাকাছি চলে এসেছে। 

গত ১০ তারিখ অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার শীর্ষক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এর ফলে মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ শুরু হয়েছে। এই তরঙ্গের শক্তি এতোটাই প্রবল যে ২.‌৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবী থেকেও তা বুঝতে পারছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু দূরত্বের কারণে ওই তরঙ্গের সঙ্কেত পড়তে পারছেন না। আর এই কারণেই সংঘর্ষ হলেও পৃথিবী বা আমাদের সৌরমন্ডলের কোনও আশঙ্কা নেই, আশ্বাস তাদের।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রায় সব ছায়াপথ, এমনকি মহাকাশের ছায়াপথে এধরনের অতিকায় কৃষ্ণ গহ্বর আছে। এই কৃষ্ণ গহ্বরগুলি যখন পরস্পরের মধ্যে মিশে যেতে থাকে তখনই মহাশূন্যে মৃত্যুর তাণ্ডব শুরু হয়। পরস্পরের পাশাপাশি ঘুরতে ঘুরতে সব কিছু গ্রাস করতে থাকে তারা। 

আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সন্দিহান, আদৌ কোনো কৃষ্ণ গহ্বর পরস্পরের সঙ্গে মিশে যায় কিনা। কারণ এযুগের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস যখন দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের মধ্যের দূরত্ব এক পারসেক বা ৩.‌২ আলোকবর্ষ হয়ে যায় তখন সেইভাবেই তারা অনন্তকাল ধরে মৃত্যুর তাণ্ডব চালিয়ে যেতে পারে। অধ্যাপক জেনি গ্রিন বললেন, এখনও পর্যন্ত দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের মিশে যাওয়ার প্রমাণ তারা পাননি। এই রহস্য দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 

বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর