নারী ফুটবলাররা ফুটবলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরেক ধাপ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি অতিক্রম করে স্থান করে নিয়েছে এশিয়ার বৃহৎ অঙ্গনে। এই অসাধারণ কৃতিত্বে বিশ্ব ফুটবল জগতে বাংলাদেশ নামের দেশটি আলো ছড়িয়েছে। এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ ফুটবলের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ‘সি’ গ্রুপে ফিফা র্যাংকিংয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকা বাহরাইন ও মায়ানমার, তুর্কমেনিস্তান অবশ্য বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে, এই তিন অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াইয়ের মঞ্চে দাপটের সঙ্গে চিত্তাকর্ষক ফুটবল উপহার দিয়ে অপরাজিত থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত রাউন্ডে প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে অদম্য নারী দল।
সত্যি কথা বলতে কি, ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেও ভাবতে পারেননি যে বাংলাদেশের নারীরা এত সুন্দরভাবে কোয়ালিফাই করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের জন্য নারী ফুটবলারদের এবারের অর্জন বিশাল। নারীরা খুলে দিয়েছেন দেশের জন্য সম্ভাবনার প্রশস্ত সিংহদ্বার। পাল্টে দিয়েছেন ফুটবলকে ঘিরে চিন্তা-ভাবনা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা এখন দেশের গৌরব, আলোর দিশারি এবং অনুপ্রেরণা। জাগরণের প্রতীক।
১৯৭৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সপ্তম এশিয়ান কাপের গ্রুপ-২ কোয়ালিফাইয়িং রাউন্ডে কোয়ালিফাই করে ১৯৮০ সালে কুয়েতে চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলেছিল বাংলাদেশ পুরুষ দল। এর ৪৫ বছর পর বাংলাদেশ নারী দল এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করল। শুরু হলো ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের। আগামী বছর ১ থেকে ২১ মার্চ ২১তম উইমেন্স এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলা হবে ১২টি দেশ নিয়ে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে লড়াইয়ের মঞ্চে থাকবে বাংলাদেশ ও ভারত। ভেবে আবেগে আপ্লুত হচ্ছি, আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার স্টেডিয়ামে এশিয়ার ফুটবলে শক্তিধর দেশগুলোর পাশে আমাদের লাল-সবুজ পতাকা সগৌরবে উড়বে। দেশে নারী ফুটবলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার বয়স তো ৫০ বছরও হয়নি।
অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়ে বাংলাদেশ দল ২০১৫ সালে নেপালে প্রথম এএফসি আঞ্চলিক (দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল) টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়-সেটিই শুরু। এর পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল মঞ্চ বয়সভিত্তিক এবং জাতীয় দলের রোমাঞ্চকর সাফল্যের গল্পে ঠাসা। ২০২২ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নারী দল সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুইবার শিরোপা জিতে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে অন্যতম শক্তি হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে। এরপর এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করে বড় স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে দেশের ফুটবলকে আরেক ধাপ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা এবং ভীষণ সীমাবদ্ধতার মধ্যে নারী ফুটবলারদের অসাধারণ এবং স্মরণীয় জার্নি। আর এই জার্নিতে অনেক প্রশ্ন আছে, কিন্তু উত্তর নেই!
এশিয়ান কাপের চত্বর যেমন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, তেমনি সম্ভাবনার হাতছানিতে ভরপুর। অস্ট্রেলিয়ায় চূড়ান্ত খেলায় ছয়ে থাকলে ২০২৭ সালের ব্রাজিল নারী বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ মিলবে। সেরা আটে থাকলে থাকবে আন্তর্মহাদেশীয় ‘প্লে অফে’ খেলার সুযোগ। এ ক্ষেত্রে স্বপ্নের জাল বোনা আর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হলে নারী ফুটবল নিয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করা এখনই জরুরি। ‘অস্ট্রেলিয়া মিশন’ স্লোগানের মধ্যে অবশ্যই একটি চেতনা ও লক্ষ্য আছে। ফুটবল ফেডারেশন নারী ফুটবলারদের পাশে ছিল এবং থাকবে। ফুটবল ফেডারেশন যদি পাশে না থাকত, তাহলে নারী ফুটবল এত রাস্তা অতিক্রম করে আজকের অবস্থানে আসতে পারত না।
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্যএকবার ভাবুন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুইবার সেরা শক্তিধর হিসেবে শিরোপা জিতেছে নারী দল। জিতেছে অনেক বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা। বাংলাদেশ নারী দল এবার দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি অতিক্রম করে স্থান করে নিয়েছে এশিয়ান মঞ্চে। এই বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের জন্য দেশে একটিও ‘ডেডিকেটেড’ ফুটবল গ্রাউন্ড নেই, যাতে তাঁরা নিয়মিতভাবে অনুশীলন করতে পারেন। নেই মেয়েদের জন্য ফুটবল কাঠামো। নেই পৃথক নারী ফুটবল একাডেমি, বাফুফের অফিসের ওপরতলায় বছরের পর বছর ধরে থাকছেন নারীরা ক্যাম্প করে। একবার একজন ফুটবল সংগঠক আমাকে বলেছেন, ফুটবলের এই আবাসিক ক্যাম্পকে এএফসি স্বীকৃতি দিয়েছে। মাঠ না থাকায় খেলার আয়োজন সম্ভব হয় না। জোড়াতালি দিয়ে অনিয়মিতভাবে স্বল্প সময়ের জন্য লীগের আয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক খুব কম। বসুন্ধরা গ্রুপের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস নারী লীগে একনাগাড়ে তিন বছর শিরোপা জিতেছে। তখন এই ক্লাবটি নারী ফুটবলারদের ভালো পারিশ্রমিক দিয়েছে। ‘পুল’ ও বিভিন্ন কারণে বসুন্ধরা কিংস আর নারী লীগে অংশ নেয় না। বাফুফের উচিত অবিলম্বে এএফসি ‘প্রেসক্রিপশন’ অনুযায়ী পেশাদার লীগ শুরু করা।
ভুটানে নারী পেশাদার লীগ চলে ছয় মাস ধরে। তাদের ক্লাবের এএফসি লাইসেন্স আছে। ভুটানের ক্লাব দলের আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলার সুযোগ আছে। বাংলাদেশে নারী পেশাদার লীগ শুরু করার এখনই সময়। এ ক্ষেত্রে বসুন্ধরাসহ অন্য বড় গ্রুপগুলোর যাতে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকে এটি নিশ্চিত করা উচিত। এতে নারী ফুটবল এগিয়ে যাবে-পাশাপাশি খেলোয়াড়রা আর্থিক নিরাপত্তার বলয়ে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। অর্থের অভাবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে ফিফার উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলানো সম্ভব হয় না। এতে খেলোয়াড়দের মান যাচাই এবং অগ্রগতি ও অবনতি নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। এর পরও নারী ফুটবলাররা জাদু দেখিয়ে চলেছেন। বেতন বাকি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা খেলেন। ফুটবলাররাও বুঝে ফেলেছেন উপায় নেই, তাঁদের লড়তে হবে বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজস্ব অবস্থান থেকে। এতে তাঁদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা সব সময় ভর করে থাকে। দেশের জন্য যাঁরা এত কিছু করছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী?
ফুটবলে প্রচুর সেন্টিমেন্টের ছড়াছড়ি। মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেন্টিমেন্ট যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে-এটি কতটুকু যুক্তিসংগত হচ্ছে ভেবে দেখা উচিত। ব্যক্তিগত দুর্বলতা ও অসহায়ত্ব নিয়ে ‘হাইপ’ সৃষ্টি করা তো মানবতা নয়। ব্রিটিশ পেশাদার কোচকে বিভিন্ন ধরনের প্ররোচনা ও বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে অসম্মান করে ‘ভিলেন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোচের বিদায় চাওয়া হয়েছে। কোচ কিন্তু সবকিছুই বুঝেছেন। তিনি নীতি আর আদর্শের প্রশ্নে আপস করেননি। সব সময় বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নেই বাংলাদেশে। আমি দেশের ফুটবলের ভালো চাচ্ছি। মেয়েদের ফুটবলের ভালো চাচ্ছি।’
নারী দলের অধিনায়ক সাবিনার নেতৃত্বে গত ৩০ জানুয়ারি ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে (২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে নারী জাতীয় দল এই পিটার বাটলারের অধীনে দ্বিতীয়বারের মতো সাফ শিরোপা জিতেছে) বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাফুফের অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ইংরেজিতে লেখা তিন পৃষ্ঠা পড়ে শোনানো হয়েছে। মেয়েরা সাফ জানিয়েছেন, এই কোচের অধীনে তাঁরা আর খেলবেন না, প্রশিক্ষণ নেবেন না, দরকার হলে সবাই জাতীয় দল থেকে পদত্যাগ করবেন। বাফুফের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা কি এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন বাফুফের নিযুক্ত হেড কোচের বিরুদ্ধে? তাঁরা বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপনের পাশাপাশি তাঁদের ‘ব্যক্তিগত বিষয়ে’ কোচের হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন। মিডিয়া বিষয়টিকে লুফে নিয়েছে। প্রতিদিনই মেয়েদের বড় কাভারেজ। কোচও কখনো কখনো কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর কথা হলো, মেয়েদের অভিযোগগুলো পুরোপুরি অযৌক্তিক। তিনি অন্যায় আবদার, নীতি, আদর্শ, ফিটনেস এবং শৃঙ্খলার প্রশ্নে কখনো আপস করবেন না-আর এটি মেয়েদের ফুটবলের স্বার্থে।
বাফুফের প্রেসিডেন্ট তাবিথ আউয়াল নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বারবার বসা সত্ত্বেও সমস্যার আশু সমাধান হয়েছে বলে মনে হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি মো. ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। এই কমিটিতে বাফুফের প্রতিনিধি ছাড়াও বাইরে থেকে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে সাত দিন। মো. ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে কমিটি বিদ্রোহী নারী খেলোয়াড় ও বিদেশি কোচের সঙ্গে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে কথা বলেছে। এরপর তাঁদের বেশ কয়েকটি সুপারিশসহ রিপোর্ট সময়মতো জমা দিয়েছে। এই রিপোর্ট পেশের পর থেকে পর্যবেক্ষকমহল মনে করে, বাফুফের যে ধরনের অবস্থান নেওয়া উচিত সেটি নিয়েছে। বাফুফে পেশাদার কোচের বিষয়ে অন্যায্য অভিযোগ ও আবদারকে প্রশ্রয় দেয়নি। এতে নারী ফুটবলে শৃঙ্খলাহীন কার্যকলাপ, ব্যক্তি ও সমষ্টির স্বার্থে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারার অবসান হয়েছে।
খেলোয়াড়দের কাজ পারফরম করা। পারফরম না করতে পারলে দলে স্থান নেই। কোচের কাছেও প্রত্যাশা হলো ‘রেজাল্ট’। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে কোচের প্রয়োজনীয়তাও শেষ হয়ে যায়। এখন পিটার বাটলারকে নিয়ে এত উচ্ছ্বাসের কারণ হলো, তিনি রেজাল্ট দিতে পারছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর নারী দল ১৪টি খেলায় অংশ নিয়ে সাতটি জিতেছে। তিনটি ড্র করেছে, চারটি হেরেছে। এর মধ্যে আছে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ।
জীবন থেমে থাকে না। কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নারী ফুটবলকে তুঙ্গে নিয়ে গেছেন খেলোয়াড়রা এবং ব্রিটিশ কোচ। পারফরম্যান্সের জন্য ১০ জন বিদ্রোহী খেলোয়াড়কেও দলে নিয়েছেন কোচ। তাঁরা কোচের সঙ্গে সুন্দরভাবে মানিয়েও নিয়েছেন। পেশাদার কোচের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে নারী ফুটবলারদের বুঝতে তাঁর সময় লাগেনি। খেলোয়াড়রা কোচ কী চাচ্ছেন, কিভাবে চাচ্ছেন, কেন চাচ্ছেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন। কোচ পিটার মেয়েদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পেরেছেন। তাঁদের মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। জ্বালিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন তাঁদের ভেতরের বারুদ। কোচের গেম পরিকল্পনাকে খেলোয়াড়রা একটি দল হয়ে অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন বলেই এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে লড়াইয়ে কামিয়াব হওয়া সম্ভব হয়েছে।
কোচের লক্ষ্য সব সময় এগিয়ে চলা। তাঁর একটাই দর্শন, ফিফা ফ্রেন্ডলি বা টুর্নামেন্ট খেলতে হবে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে—এতে খেলোয়াড়দের মধ্যে ভয়ডর থাকবে না। তাঁদের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আসল কম্পিটিশনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি ভালো হবে। সবাই এক মন এক প্রাণের অধিকারী হয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করায় ধরা দিয়েছে স্মরণীয় সাফল্য। খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্স নিয়ে আগামী কলামে বিশ্লেষণ করব। খেলোয়াড়, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ—সবাইকে অভিনন্দন দেশে অস্থিরতা ও বিভাজনে ভরপুর সময়ে মাঠে দারুণ জয় পুরো জাতিকে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ করেছে। রোমাঞ্চকর ফুটবল গল্প অনেক দিন মুখে মুখে থাকবে।
লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্লেষক। সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি, এআইপিএস এশিয়া। আজীবন সদস্য বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। প্যানেল রাইটার, ফুটবল এশিয়া।
বিডি প্রতিদিন/এমআই