অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে আসা লভ্যাংশ থেকে সর্বাধিক ৪৫ শতাংশ আয় করতে পারেন ইউটিউবাররা। শর্টস ভিডিও যারা বানান তাদের জন্য অবস্থাটা আরও কঠিন। কারণ ওই আয়ের একটি অংশ আবার চলে যায় মিউজিকের কপিরাইটের পেছনে। তবে যাই হোক, ইউটিউবের এ নতুন ঘোষণায় শর্টস নির্মাতারা অনেকটাই উদ্দীপ্ত হবেন...
ইউটিউবে দারুণ জমে উঠেছে শর্টস ভিডিও। আজকাল চোখ চলে যায় শর্টসে। ছোট ছোট এ ভিডিওগুলো খুব কম সময়ে ব্যবহারকারীদের মন জয় করে নিয়েছে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, ইউটিউবের বড় বড় ভিডিওর সঙ্গে টক্কর দিতে শুরু করেছে এ শর্ট ভিডিওগুলো। ইউটিউবে ভিডিও বানানো ব্যাপারটাকে রীতিমতো পেশার জায়গায় নিয়ে গেছেন অনেকে। অনেক নির্মাতা শুধু ভিডিও বানিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। আর নির্মাতাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু রেভিনিউ মডেলও তৈরি করেছে ইউটিউব। চ্যানেল মেম্বারশিপ, ফ্যান স্পন্সরশিপের মতোই অন্যতম একটি আয় বিজ্ঞাপন থেকে আসা শুল্ক।
এবার শর্টস বা ইউটিউবের শর্ট ভিডিও থেকে আসা রেভিনিউও নির্মাতাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। সম্প্রতি বড়সড় বদল এসেছে ইউটিউবে। দীর্ঘ ২৫ বছর গুগলের সঙ্গে জুড়ে থাকার পর ইউটিউবের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সুজান ওয়োজসিকি। তার জায়গায় সিইওর পদে অভিষিক্ত হয়েছেন ভারতীয় বংশো™ূ¢ত নীল মোহন। তিনি আসার পরই ইউটিউব ভিডিও নির্মাতাদের জন্য সুখের খবর শোনালেন।
ইউটিউবের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে- এবার ইউটিউব শর্টস থেকে আসা অ্যাডভার্টাইজিং রেভিনিউয়ের একটি অংশ নির্মাতাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবে গুগলের এ ভিডিও প্ল্যাটফরমটি। এতে নির্মাতারা যেমন কাজে নতুন উদ্যোগ পাবেন তেমনি তাদের কাছে উপার্জনের নতুন পথও খুলে যাবে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন এ মডেল কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে ইউটিউবের তরফ থেকে। ইউটিউব চ্যানেলের মালিক, যাদের কাছে ১ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এবং ৯০ দিনের মধ্যে ১ কোটি ভিউ আনতে পারবেন তারাই ইউটিউবের ওই পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে ইউটিউবের পক্ষ থেকে। ফলে শুনতে সহজ হলেও ব্যাপারটা খুব একটা সহজ নয় নির্মাতাদের জন্য। মাত্র ৯০ দিনের মাথায় ১ কোটি ভিউ আনা বেশ কঠিন ব্যাপার বলেই মনে করছেন ইউটিউবারদের কেউ কেউ। এমনিতে ইউটিউব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে আসা লভ্যাংশ থেকে সর্বাধিক ৪৫ শতাংশই আয় করতে পারেন ইউটিউবাররা। শর্টস ভিডিও যারা বানান তাদের জন্য অবস্থাটা আরও কঠিন। কারণ ওই আয়ের একটি অংশ আবার চলে যায় মিউজিকের কপিরাইটের পেছনে।
তবে যাই হোক, ইউটিউবের এ নতুন ঘোষণায় শর্টস নির্মাতারা অনেকটাই উদ্দীপ্ত হবেন। পাশাপাশি অর্থ আসবে ইউটিউবেরও। ফলে নতুন এ নীতিতে দুই পক্ষেরই লাভ হবে বলেই আশাবাদী ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।