রংপুর নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল। বর্তমানে চালু আছে এমন ১২০টি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মধ্যে ৬৮টিরই স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো অনুমোদন নেই। অধিকাংশ ক্লিনিকে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। আবার ১০, ২০ ও ৩০ শয্যার জন্য অনুমোদন নিয়ে ৫০-২০০ রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ক্লিনিক ও হাসপাতালের বেশির ভাগেই বিশেষজ্ঞা চিকিৎসক নেই। অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী ১০ শয্যার ক্লিনিক ও হাসপাতালের জন্য ৩ জন করে চিকিৎসক এবং ৬ জন করে নার্স থাকা বাধ্যতামূলক থাকার বিধান থাকলেও শতকরা ৮০ ভাগে এ নিয়ম মানা হয় না বলে জানিয়েছে খোদ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি। সমিতির অভিযোগ, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন নজরদারি নেই। স্বাস্থ্য বিভাগকে বছরে একটা ‘মোটা অংকের’ উেকাচ দিয়ে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাসেবার নামে রোগীর স্বজনদের পকেট কাটছে। ১১ জুলাই নগরীর ইসলামবাগে ভিআইপি জেনারেল হাসপাতালে অপারেশনকালে চিকিৎসা অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যু ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। নড়েচড়ে বসে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন কমিটি সাতদিন পর পর ক্লিনিক ও হাসপাতাল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) নগরীর নিবন্ধনহীন পাঁচটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- ভিআইপি জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর ডিজিটাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রিন্স হাসপাতাল, স্বাধীন বাংলা ক্লিনিক এবং কিংস হাসপাতাল। রংপুর ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে চালু ১২০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মধ্যে ৩০ শয্যার ৩টি, ২০ শয্যার ৫টি এবং অন্যগুলো ১০ শয্যার। এরমধ্যে অনুমোদিত ৫২টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল সমিতির সদস্যভুক্ত। বাকিগুলোর নিবন্ধন নেই। জেলা বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ক্লিনিক ও হাসপাতাল স্থাপনের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। সমিতির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার নামে হরিলুট কারবার চলছে। এসব ক্লিনিক ও হাসপাতালে না আছে নিজস্ব চিকিৎসক, না আছে মানসম্মত যন্ত্রপাতি। অপারেশন থিয়েটারগুলোতে কোনো পরিবেশ নেই। ধার করে চিকিৎসক এনে রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে। রংপুর ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান কোয়েল বলেন, রংপুরে অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসংক্রান্ত অঘটন ঘটলে বদনাম হয় অনুমোদিত ক্লিনিক ও হাসপাতাগুলোরও। যে কারণে গত ১২ জুলাই (বুধবার) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে অনুমোদনহীন ও নিয়ম ভঙ্গকারী ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। জেলা বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন কমিটির সদস্য সচিব ও রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. জাকিরুল ইসলাম বলেন, রংপুরে বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে ওঠা অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার নামে অরাজকতা চলছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। এটা আর করতে দেওয়া হবে না। অনুমোদনহীন পাঁচটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শন কমিটি নিয়মিত পরিদর্শন করে অনুমোদনহীন অন্য ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
শিরোনাম
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও হাসপাতাল
শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর