মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সড়কে ভয়ঙ্কর মাদকাসক্ত চালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে ভয়ঙ্কর মাদকাসক্ত চালক

সড়কে দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ চালকদের মাদকাসক্তি। নেশার ঘোরে বেপরোয়া বাস চালান অসংখ্য চালক। অন্যদিকে সন্ধ্যার পর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেন অধিকাংশ কিশোর হেলপার, যাদের মধ্যেও মাদকাসক্ত রয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে যাত্রীবাহী বাস ও স্বল্প দূরত্বের রাস্তায় চলাচলকারী হিউম্যান হলারের চালকরা অনেক বেপরোয়া। প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা স্টিয়ারিং ধরে বসে

থাকার শক্তি জোগাতে ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করেন অধিকাংশ চালক। বিষয়টি ওপেন-সিক্রেট হলেও প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নেই। সম্প্রতি ঢাকায় বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় হাত-পা বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

রাজধানীতে ইতিপূর্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আয়োজনে ‘মাদকাসক্তি ও সড়ক দুর্ঘটনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বলা হয়, গাড়িচালকদের মাদক সেবনের কারণে ৩০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আর ৯৮ শতাংশ চালক কোনো না কোনোভাবে মাদক গ্রহণ করেন। ৫০০ জন বাস ও ট্রাকচালকের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়। সড়কে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি আশঙ্কজনকভাবে বাড়ছে। এই দুর্ঘটনার বেশিরভাগ কারণ হচ্ছে চালকরা মাসকাসক্ত। মনোরোগ বিজ্ঞানীরাও একই মতামত প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকায় গণপরিবহনের ৮০ ভাগ চালক ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন শ্রমিকরা নানা রকম চাপের মধ্যে থেকে গাড়ি চালান। এর সঙ্গে ইয়াবা গ্রহণ যোগ হয়ে নৃশংস দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ দেশে চালকদের কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা নিয়োগ পদ্ধতি না থাকায় যে যত বেশি ট্রিপ দিতে পারে সেটাই তাদের লাভ। এটাই অনেক ক্ষেত্রে তাদের ইয়াবাসহ নানা মাদক সেবনের প্রধান কারণ। চালকদের কর্মঘণ্টা এবং নির্ধারিত বেতন থাকলে সড়কে এই অনিয়ম কমে আসত। ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ বলছে, চালক যদি ইয়াবা সেবন করে সেটা দ্রুত শনাক্ত করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়- তা জানার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

সর্বশেষ খবর