শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কান্দিখাল ভরাটে ক্ষোভ বাড়ছে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কান্দিখাল ভরাটে ক্ষোভ বাড়ছে

কুমিল্লা নগরীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান খাল কান্দিখাল ভরাট করা হচ্ছে। নগরীর টমছমব্রিজ থেকে লাকসাম রোডের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ করতে গিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ খালটি ভরাট করছে। কিছু অংশ ভরাটে বর্তমানে খালটি সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর বর্জ্য ও ময়লা পানি এই খাল দিয়ে অপসারণ হয়। এমনিতে সামান্য বৃষ্টিতে নগরী ডুবে যায়, সেখানে পানি অপসারণ পথ স্বাভাবিক না থাকলে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করবে। খাল ভরাট নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে নগরীর বাসিন্দাদের মাঝে। তাদের দাবি, সড়ক নির্মাণের জন্য খাল ভরাট বন্ধ করা হোক। এমনকি যে অংশে মাটি ফেলা হয়েছে সেগুলোও অপসারণ করা হোক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর টমছমব্রিজ থেকে কচুয়া চৌমুহনী সড়কের পাশের কান্দিখালটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশ পথের কালভার্টের দুই পাশে বিশাল অংশ জুড়ে ভরাট করা হয়েছে। পানি অপসারণ প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, যত প্রয়োজনই হোক পুকুর, নদী, খাল বন্ধ করা যাবে না। বিশেষ করে কান্দিখাল নগরীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান খাল। অল্প বৃষ্টিতে নগরী জলাবদ্ধ হয়ে যায়। এটি আরও প্রশস্ত ও গভীর করা দরকার। সেখানে এটি ভরাট করা দুঃখজনক। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, আমাদের সড়কের প্রয়োজন রয়েছে। তবে সেটা খাল ভরাট করে কেন করতে হবে। পানি অপসারণের খাল সচল রেখে সড়কের কাজ করতে হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, খাল ভরাটের কথা শুনে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা গিয়ে কাজ বন্ধ করেছেন। খালের মালিক জেলা প্রশাসক, তার সঙ্গে আমরা এ নিয়ে বসব। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, সড়ক আমাদের জায়গায় নির্মাণ করছি। খাল বাঁচাতে হলে যারা খাল ও জমি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নিতে পারে। 

সর্বশেষ খবর