মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সড়কে মড়ক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সড়কে মড়ক

চট্টগ্রাম নগরের জামাল খান ওয়ার্ডকে বলা হয় হেলদি ওয়ার্ড। নগরের সব ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা তৈরি হলেও এটিতে হয় না। পক্ষান্তরে নগরের অন্যান্য সড়ক থেকে জামাল খান সড়কটির অবস্থা ভালোই থাকে। কিন্তু এ সড়কটিও এখন খানাখন্দে ভরপুর। নগরের কাজীর দেউড়ি-মেহেদীবাগ সড়কটির শেষ প্রান্তে প্রবর্তক মোড়ের পূর্বেই আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সড়কের কাছেই আছে গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু হাসপাতাল। অথচ এটি খানাখন্দে ভরা। রিকশা-অটোরিকশায় চলতে গেলে হৃদরোগীদের ব্যথা শুরু হয়।

এভাবে নগরের অধিকাংশ সড়ক এখন মড়কে পরিণত হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কগুলো তো আছেই, উপসড়কগুলোরও অবস্থা বেহাল। সব সড়কেই ছোটবড় গর্তে ভরা। গর্তে জমে থাকে পানি। বৃষ্টি হলেই অধিকাংশ সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। সঙ্গে থাকে জোয়ারের পানির আতঙ্ক। নগরের প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে এ ভোগান্তির মধ্যেই পার করতে হয় নাগরিক জীবন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের সড়কগুলো মেরামত করে থাকে। পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম বলেন, অতিবৃষ্টি ও সংস্কার না করায় ওয়ার্ডের কেবি আমান আলী রোড, ডিসি রোডের ধুনিরপুল থেকে মিয়ার বাপের মসজিদের মোড়, চন্দনপুরা ব্রিজের আগ পর্যন্ত খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ডিসি রোডের ফালাহ্ গাজী মোড় থেকে গনি কলোনি মোড় পর্যন্ত চাক্তাই খাল না পরিষ্কার করায় বৃষ্টি ছাড়াও জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। এতে যান ও জন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীকে ভাঙাচোরা রাস্তার নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষায় নগরীর প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মতো সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়কে এখন সংস্কার কাজ চলছে। করোনা ও বৃষ্টির কারণে কিছুদিন সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল। তাই অনেক জায়গায় একটু বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। মেরামত কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ কমবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কজুড়ে ব্যাপক খানাখন্দ তৈরি হয়। হয়েছে বড় বড় গর্ত। নগরীর এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং রোড, ডিটি রোড, বহদ্দারহাট, ঈদগাহ, চকবাজার, কোতোয়ালি থেকে চাক্তাই, মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট, পাহাড়তলী, অলঙ্কার, সাগরিকা, বন্দর, ফকিরহাট, নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, কালামিয়া বাজারসহ প্রায় সব এলাকার সড়কের বেহাল দশা। অন্যদিকে, গত পাঁচ বছর ধরে নরক যন্ত্রণা চলছে নগরের লাইফ লাইন খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোডে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানির পণ্য পরিবহনের অন্যতম সড়ক এটি। নগরীর আরেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত স্ট্যান্ড রোডটির অবস্থাও শোচনীয়। এই সড়কে কিছু দূর পর পর অসংখ্য গর্ত। এ সড়কের ওপর দিয়েই দুর্ভোগ নিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন বাংলাবাজার, মাঝিরঘাট, সদরঘাট ও মাদারবাড়ীর হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও বসবাসরত মানুষ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর