মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিক্ষা বোর্ডের হীরকজয়ন্তী

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শিক্ষা বোর্ডের হীরকজয়ন্তী

সম্প্রতি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৬০ বছর পূর্তি তথা হীরকজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। হীরকজয়ন্তীতে বোর্ড প্রশাসনের কাছে শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও উদ্যমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের মতে, জনবল সংকট কাজের গতি বাড়ানোর প্রধান প্রতিবন্ধক। সংকট কাটিয়ে কুমিল্লার শিক্ষাঙ্গনে নতুন দিন আনতে চাই। 

বোর্ড সূত্র জানায়, ১৯৬২ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার বিজ্ঞান ভবনে যাত্রা শুরু করে বোর্ড। বর্তমান কার্যালয় নগরীর লাকসাম রোডে ঈশ্বর পাঠশালার সামনে। এই বোর্ডের আওতায় প্রথম দিকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ছিল। বর্তমানে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলার ৪২৬টি কলেজ, ১৯৬৫টি বিদ্যালয় বোর্ডের আওতায় রয়েছে। শিক্ষাবিদ ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল বলেন, ১৯৬৫ সালে কুমিল্লা বোর্ড থেকে এসএসসি পাস করি। ১৯৬২ সালে বোর্ড স্থাপনের পর কুমিল্লার শিক্ষাঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের মানুষ নগরীতে আসতে থাকেন। ওই অঞ্চলের স্বজনরা আমাদের বাসায় থেকে বোর্ডে তাদের কাজ করে নিয়েছেন। মানুষের সমাগম বাড়ায় নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটে। ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বোর্ড যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন আমার বয়স ২৭ বছর। আমি তখন ভিক্টোরিয়া কলেজের লেকচারার। কুমিল্লা বোর্ড এ অঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও উদ্যমী হবে বলে প্রত্যাশা করছি। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের বলেন, কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। শিক্ষা বোর্ড এই জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেতুবন্ধক এই বোর্ডের ৬০ বছর পূর্তি হয়েছে। বিষয়টি আমাদের জন্য সম্মান ও গৌরবের। তিনি বলেন, দেশের প্রাচীন এই শিক্ষা বোর্ড জনবল সংকটে গতি বাড়াতে পারছে না। জনবল নিয়োগ হলে প্রশাসন আরও গতিশীল হবে।

সর্বশেষ খবর