মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্ল্যাব বসালেই দিতে হবে ‘কর’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

স্ল্যাব বসালেই দিতে হবে ‘কর’

চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার নালা-নর্দমা ও ফুটপাতে স্ল্যাব বসানোর অনুমোদন দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। কিন্তু বর্তমানে চসিকের অনুমোদন না নিয়েই ইচ্ছামতো অবৈধভাবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় বসানো হয়েছে অসংখ্য স্ল্যাব। যথেচ্ছ স্ল্যাব বসানোর কারণে বেদখল হয়েছে নালা-নর্দমা ও ফুটপাত। বাধাগ্রস্ত হয়েছে পানি চলাচল। কোথাও কোথাও নালা পরিণত হয়েছে বর্জ্যাগারে। এবার চসিক অবৈধ স্ল্যাবের লাগাম টানতে কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্ধারণ করা হয়েছে স্লাবের আয়তনভিত্তিক কর। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে ডিমান্ড নোটিস।

দীর্ঘদিন ধরেই নগরের ফুটপাত ও নালা-নর্দমার ওপর অবৈধভাবে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। ফলে বিশৃঙ্খল একটি অবস্থা তৈরি হয়। চসিক নালা-নর্দমার স্ল্যাবগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে এগুলোর ওপর থেকে কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে নগরের বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। প্রতি বর্গফুট স্ল্যাবের জন্য আবাসিক হলে ৫০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক হলে ১ হাজার টাকা কর ধরা হয়েছে। চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরিজ বলেন, নগরের ফুটপাত ও নালা-নর্দমায় অবৈধভাবে অসংখ্য স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এগুলোর কারণে বর্ষায় পানি প্রবাহিত বাধাগ্রস্ত হয়। তাই কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, নগরে অন্তত ১ লাখ অবৈধ স্ল্যাব আছে। ইতোমধ্যে ১ হাজারের মতো নোটিস পাঠানো হয়েছে। নগরজুড়েই যে যার ইচ্ছামতো অবৈধভাবে স্ল্যাব বসিয়েছে। ফলে বর্ষায় নালা নিয়ে স্বাভাবিক গতিতে পানি যেতে পারে না। গ্রীষ্মকালে নালা-নর্দমা শুকিয়ে পরিণত হয় বর্জ্যাগারে। অনেক ফুটপাত ও নালা-নর্দমা সড়কের পাশর্^বর্তী ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে চসিকের অনুমোদন ছাড়াই স্ল্যাব বসিয়ে নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন। এতে যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।

সর্বশেষ খবর